ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু হবে ২০১২ সালের মধ্যেই: প্রতিমন্ত্রী

শামীম খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১১
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু হবে ২০১২ সালের মধ্যেই: প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা : চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে রাশিয়ার সহযোগিতায় রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ ২০১২ সালের মধ্যেই শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে। চুক্তির ব্যাপারে অনেকটা অগ্রগতিও হয়েছে।

চলতি বছরের মধ্যেই এ চুক্তি সম্পাদন হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুক্তির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।

বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেজ ওসমান বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।  

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তার দফতরে এই সাক্ষাৎকার দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর পরই এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করে। এ লক্ষ্যে ২০০৯ সালের মে মাসে রাশিয়ার সঙ্গে এমওইউ এবং গত বছর ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরের সময় এ ব্যাপারে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে অনেকগুলো কমিটির মাধ্যমে দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। ২০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই পারমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকাজ আগামী ২০১২ সালের মধ্যে শুরু করার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনের জন্য এরই মধ্যে আমরা সংসদের অনুমোদন নিয়েছি। ’

‘এরপর আমরা দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চিন্তা-ভাবনা করব। ভবিষ্যতে এ ধরণের আরও প্রকল্প নেওয়া হবে। বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান এবং স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জনে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র (নিউকিয়ার পাওয়ার প্লান্ট) স্থাপন করতেই হবে। ’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পরই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হিসেবে আইসিটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। ছাত্র-ছাত্রী ও যুব সমাজকে কম্পিউটার শিক্ষা ও ইন্টারনেট সেবা দিতে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৬ শ’রও বেশি কম্পিউটার ল্যাব, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ২০টি সাইবার সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে আরও ১২ শ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠার কাজ শেষ করা হবে। ’

‘৭৮৪৮ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সব জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়াম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের আইসিটি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ১৫২টি কমিউনিটি ই-সেন্টার, ৬৪টি জেলায় তথ্য বাতায়ন বা ওয়েবপোর্টাল স্থাপন করা হয়েছে।

ওসমান আরও বলেন, ‘৪৫০১টি ইউনিয়নে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫৯টি বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন ইউনিয়নে সৌরশক্তি ব্যবহার করে তথ্য ও সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ’

‘মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, রেজাল্ট সুবিধা চালুর কারণে ২ বছরে মোবাইল গ্রহকের সংখ্যা ২ কোটি ৫ লাখের মতো বেড়েছে। সরকারের আন্তরিকতার কারণেই এসব সম্ভব হচ্ছে। ’

‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে ইউনিকোডের সদস্যপদ লাভ করেছে। বিশ্বের ৩০টি আইটি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হয়ে বাংলাদেশ কাজ করছে। ২ বছরের অর্জন হচ্ছে আইটিতে উন্নতির ধ্যান-ধারণা উন্নত হচ্ছে। ’

‘প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে জীবনের পরিবর্তন ঘটানো যায়, সাধারণ মানুষের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস অর্জিত হয়েছে। এভাবে এগুতে থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন অবশ্যই সম্ভব। ’

বাংলাদেশ সময় ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।