ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জনগণের রায়কে ছিনিয়ে নিলে জনগণ তা মেনে নেবে না। প্রশাসনকে চাপে রেখে বিজয় কেড়ে নিলে ঐ বিজয় হবে সরকারের নিজের দলের বিজয়।
তিনি অবিলম্বে নিবাচন কমিশনকে দখলকৃত ভোট কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করার দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কাইয়ুম, জহুরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, যারা ভোট কেন্দ্র দখল, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা, ভোট বক্স ছিনতাই ও ভোট কেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দিতে হবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বরিশাল ও খুলনার পৌর নির্বাচনে সরকারের মন্ত্রী এমপিসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রভাব রয়েছে। তাদের প্রভাবে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মারধর, গ্রেপ্তার, নির্যাতন করছে। আর এ কারণে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকছে না।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, পটুয়াখালীতে প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার, বরিশালে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, কুষ্টিয়ায় মাহবুবুল আলম হানিফ ও পঙ্কজ দেবনাথ প্রকাশ্যে তাদের বাহিনী দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল এবং বিএনপি সমর্থিত লোকদের মারধর করিয়েছেন।
তিনি বলেন,দুপুর পর্যন্ত দুই বিভাগের গৌরনদী,বানারীপারা,মেহেন্দিগঞ্জ,খেপুপারা,স্বরুপকাঠী,কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও মিরপুর,যশোরের বেনাপোল ও ভোলায় অনেকে কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কোন কোন কেন্দ্রের ভোট বাক্স ছিনতাই করে নেওয়া হয়েছে। অনেক নেতার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সর্মথকদের হামলায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। অনেকে হাসপাতালে আছে। আমরা সরকারি দলের এহেন আচরণের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
এরইমধ্যে গৌরনদী ও মেহেন্দিগঞ্জ পৌর সভার নিবাচর্ন স্থানীয় বিএনপি বর্জন করেছে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১০