কক্সবাজার: পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে মাতামুহুরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর এলাকাসহ উপজেলার ৫০টিরও বেশি গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ।
সোমবার সকালে ঢলের পানিতে ভেসে গেছেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী কৃষক লীগের সভাপতি বদিউর রহমান (৫৭) ও খলিলুর রহমান (২২) নামের এক যুবক।
এর আগে রোববার রাতে বিশ্বকাপের খেলা দেখতে যাওয়ার সময়ে উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং এলাকায় খালের ব্রিজ ভেঙ্গে পানিতে পড়ে ভেসে যান জসিমউদ্দিন(১৯) নামে এক যুবক।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভেসে যাওয়া তিন জনেরই কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
চকরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিমউদ্দিন ও উখিয়া থানার রফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার সকালে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে নিশ্চিত করেছেন যে নিখোঁজ ৩ জনের লাশ বা তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার আবহাওয়া দফতরের সহকারি আবহাওয়াবিদ শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় ১০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে এই বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন চলতে পারে।
এদিকে সোমবার সারাদিন কক্সবাজার জেলার প্রায় সব এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার নিচু এলাকাগুলো তলিয়ে গেছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত কমে এসেছে।
চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, মাতামুহুরীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার অন্তত ১২টি ইউনিয়নের ৫০টির বেশি গ্রাম দুই থেকে পাঁচ ফুট পানির নিচে ডুবে গেছে।
তিনি জানান, সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় ঢলের প্রবল স্রোতে ভেসে যান চকরিয়া উপজেলা কৃষকলীগ ও চিরিংগা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি বদিউর রহমান।
অন্যদিকে রোববার বিকেলে ঢলের পানিতে ভেসে আসা কাঠ ধরতে গিয়ে সুরাজপুর গ্রামের খলিলুর রহমান নামের এক তরুণ ভেসে গেছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১০