ঢাকা : রাজধানীর ইংলিশ রোড এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অপু (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবী নিহত অপু ডাকাত শহীদের অন্যতম সহযোগী।
কোতোয়ালী থানা সূত্রে জানাগেছে, নিহত অপুর বাড়ি পুরান ঢাকার বেচারাম দেউরির তারা মসজিদের পাশে।
কোতোয়ালী থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, র্যাব-১০ এর লালবাগ ক্যাম্পের একটি দল বুধবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটায় ইংলিশ রোড এলাকায় টহলের দায়িত্ব পালন করছিল। এ সময় ৭/এ ইংলিশ রোডের সামনে ৭/৮ জন সন্ত্রাসীকে আড্ডা দিতে দেখে। র্যাবের টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
এসআই নূরুল ইসলাম আরও জানান, গোলাগুলির একপর্যায়ে অপু গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে র্যাব সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে র্যাব চারটি গুলিভর্তি পিস্তল উদ্ধার করে বলে তিনি জানান।
ময়না তদন্তের জন্য অপুর লাশ মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসআই জানান, এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করেছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, ডাকাত শহীদের অন্যতম সহযোগী অপুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে পুরান ঢাকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ভুট্টোর গ্রুপে কাজ করতো অপু।
উল্লেখ্য গত তিন দিনে তিনটি ‘বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার পল্লবী থানাধীন বাউনিয়াবাদ বালুরমাঠ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবির হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়। পরদিন মঙ্গলবার র্যাব-৩ এর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মতিঝিল ঝিলপাড় এলাকায় হুমায়ুন কবীর বিপ্লব নামে আরেক যুবক মারা যান। এর পরদিনই বুধবার আরও একটি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনা ঘটল।
বাংলাদেশ সময় ১২৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১১