ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শৈত্যপ্রবাহ শনিবারে কেটে যেতে পারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১১
শৈত্যপ্রবাহ শনিবারে কেটে যেতে পারে

ঢাকা: চলমান শৈত্যপ্রবাহ শনিবারের মধ্যে কেটে যেতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। তবে শুক্রবার পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহের রেশ থাকবে।

চলতি মাসের শেষার্ধে দেশের উপর দিয়ে আরেক দফা শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম বুধবার বাংলানিউজকে জানান, ‘জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং অন্যান্য অংশে ২ থেকে ৩টি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হবে। ’

তিনি বলেন, ‘তবে এই শৈত্য প্রবাহের বাইরেও দেশের বেশিরভাগ অংশের নদী অববাহিকায় ভারী কুয়াশা পড়তে পারে। ’

বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় তৈরি করা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া ও টাঙ্গাইল অঞ্চলসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং খুলনা, সীতাকুণ্ড, চাঁদপুর, ফেনী ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলসহ বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের অন্যান্য অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ’  

এই সময় রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগসহ দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

তবে বৃহস্পতিবার দেশের কোথাও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের একজন দায়িত্বরত আবহাওয়াবিদ (ডিএফও) বুধবার সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে জানান, ভারতের উপর সৃষ্ট একটি উচ্চচাপ বলয় বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়া এবং ঊর্ধ্বাকাশের হিমশীতল জেট বায়ু বাংলাদেশের উপর ১৮ হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে আসায় শৈত্যপ্রবাহ এতো তীব্র হয়েছে। উচ্চচাপ বলয়ের বিস্তৃতি ও হিমশীতল জেট বায়ু ভূমন্ডলের স্থলভাগের কাছাকাছি নেমে আসার ওপর শীতের তীব্রতা নির্ভর করে।

ডিএফও আরও জানান, সাধারণত তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গেলে তাকে তীব্র, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহিম বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ুর তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য কমে আসছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পার্থক্য যতই কমবে, শীতের তীব্রতা ততই বাড়বে। ’  

তিনি বলেন, ‘তাপমাত্রা খুব দ্রুত নেমে যাচ্ছে। ’

বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকায় বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১১ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।