ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক আগামী ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এবারের বৈঠকে অন্যান্য নিয়মিত এজেন্ডার বাইরে সীমান্তে বিএসএফের গুলি বন্ধে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হবে।
স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান শিকদার বুধবার বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘সীমান্তে গুলির ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। ’
প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের এটি ১১তম বৈঠক। এর আগে ২০০৯ সালের ১ ও ২ ডিসেম্বর ১০তম বৈঠক নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের বৈঠকে সীমান্ত নিরাপত্তা, মাদক চোরাচালান বন্ধ, নারী ও শিশু চোরাচালান বন্ধ, সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা, বিডিআর ও নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের ওপর বিএসএফের আক্রমণ বন্ধ, সীমান্তের অপদখলীয় ভূমি উদ্ধার, ছিটমহল সমস্যা সমাধান করাসহ বিভিন্ন ইস্যু আলোচনায় বাংলাদেশের এজেন্ডায় রয়েছে।
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত বা আহত হওয়া বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র সচিব বাংলানিউজকে বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফের গোলাগুলির বিষয়টি বেশ ভালোভাবেই আলোচনা হবে। ’
কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফালানির বিএসএফের হাতে নিহত হওয়ার ঘটনাটিও ভারতীয় পক্ষকে অবহিত করা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘ফালানিতো কোনো চোরাচালানি বা অন্য কোনো অপরাধী ছিলো না। ’
তিনি বলেন, ‘বিএসএফকে জীবন সংহারি গুলির ব্যবহার বন্ধের দাবি জানানো হবে। এর পরিবর্তে রাবার বুলেট তারা ব্যবহার করতে পারে। ’
আবদুস সোবহান শিকদার আরও বলেন, ‘নন-লেথ্যাল উইপন’ ব্যবহার করে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আটক করা যেতে পারে। এরপর তাদের সেদেশের প্রচলিত আইনে বিচার করতে পারে। কিন্তু গুলির ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। ’
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে যেকোনো ধরনের গুলির ব্যবহার বন্ধের পক্ষে বাংলাদেশ। ’
এদিকে স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আগের দু’দিন যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের ‘যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ’ এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ দু’টি বৈঠক মূলত সচিব পর্যায়ের বৈঠকেরই প্রাক-বৈঠক। এই দু’টি বৈঠকের ফলাফল সচিব পর্যায়ের বৈঠকে আলোচিত হবে।
এবারের বৈঠকে গত ১০ ও ১১ নভেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত যৌথ সীমানা ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েও আলোচনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১১