ঢাকা: খালেদা জিয়ার ছেড়ে আসা সেনানিবাসের বাড়ি থেকে মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এর আগে বুধবার বাড়িটির দায়িত্ব পুলিশের হাত থেকে বুঝে নেয় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ।
মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় মঈনুল রোডের বাড়িটি থেকে খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ করা আদালত অবমাননার শামিল মর্মে খালেদার আবেদনটি উপস্থাপন করাই হয়নি বলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বুধবার সকালে তা খারিজ করে দেয়।
এরও আগে ৩০ নভেম্বর আপিল বিভাগ লিভ টু আপিলসহ খালেদা জিয়ার তিনটি আবেদন খারিজ করেন।
এ অবস্থায় এই বাড়িটি পুরোপুরি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় বুধবার বিকেলেই তা পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নেওয়ার কাজ শুরু করে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
ওইদিন সন্ধ্যার দিকে একটি মাইক্রোবাস বাড়িটিতে ঢোকে। ঢাকা মেট্রো-চ ১৩/৩০০২ নম্বরের গাড়িটিতে ৮/১০জন সাদা পোশাকের লোক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহীদ মঈনুল রোডের বাড়ির সামনে সরেজমিন ঘুরেও দেখা গেছে সেখানে পুলিশের কোনও সদস্য নেই।
এদিকে সূত্র জানায়, মঈনুল রোডের বাড়িটিতে মালামাল সরানোর কাজও শুরু হয়েছে। তবে একসঙ্গে অনেক মালামাল নয়.. ধীরে ধীরে তা সরানো হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, সব মালামাল খালেদা জিয়াকে কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কিছু জানা নেই। ’
গত ১৩ নভেম্বর বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে খালেদা জিয়া সেনানিবাসের বাড়িটি ছেড়ে গুলশানে ছোটভাই শামীম ইস্কান্দারের বাড়িতে ওঠেন।
এসময় তিনি কয়েকটি ব্যাগে প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী ছাড়া সবকিছুই ওই বাড়িতে রেখে যান।
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে ঢাকা সেনানিবাসের ৬ মইনুলের রোডের বাড়িটি ছেড়ে দেন খালেদা জিয়া। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বলা হচ্ছে খালেদা জিয়াকে ওই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে সরকার।
বাংলাদেশ সময় ১৩৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১০