ঢাকা: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আশরাফুজ্জামান লালের প্রার্থীতা বাতিল করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা রিটার্নিং অফিসার।
তার বিরুদ্ধে বিশেষ মতা আইনে ১৭ বছরের জেল থাকায় তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।
কালীগঞ্জের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম বাংলানিউজকে জানান, মেয়র প্রার্থী আশরাফুজ্জামান লাল ২০০৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন। এই মামলায় তিনি ১৭ বছর সাজাপ্রাপ্ত। ৫ বছর কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে তিনি মুক্তি পান।
তিনি আরো জানান, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ২ বছরের উর্ধ্বে কোনো সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার বিধান নেই বলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার জানান, আশরাফুজ্জামান লালের উচ্চ আদালতে করা রিটও মঙ্গলবার খারিজ হয়েছে বলে তিনি মৌখিকভাবে শুনেছেন।
২/১ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ও কোর্টের আদেশ পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আশরাফুজ্জামান লাল বাংলানিউজকে জানান, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিলে গত ১৯ ডিসেম্বর তার প্রার্থীতা বাতিল করেন কালীগঞ্জের রিটার্নিং অফিসার। এরপর তিনি ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক রমা রানী রায়ের কাছে আপিল করেন। সেখানেও তার আবেদন খারিজ হলে তিনি উচ্চ আদালতে রিট করেন। উচ্চ আদালত তার প্রার্থীতা ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল রাখার নির্দেশ দেন।
এদিকে কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলের খবরে দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে হতাশা নেমে এসেছে।
তবে সেখানে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সাবেক পৌর কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন মাঠে রয়েছেন।
কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি আতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে জানান, বিএনপির অপর বিদ্রোহী প্রার্থী শাহনাজ পারভিনের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১