ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস পেলেন কাজী জাফর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১

ঢাকা: দুটি দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস পেলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ।
 
মঙ্গলবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মো. আব্দুল মজিদ একটি দুর্নীতি মামলায় অব্যাহতি ও অপর একটি  দুর্নীতি মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে তাকে খালাস দেন।

কাজী জাফর এসময় উপস্থিত ছিলেন।
 
মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন আদালতের বিশেষ সরকারী কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
 
মামলার এজাহার হতে জানা যায়, বাংলাদেশ কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড একটি নন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কাজী জাফর আহমেদ অপরাপর আসামিদের সহায়তায় অসৎ উদ্দেশ্যে ১৯৯০ সালের ২৭ মে হতে ১৯৯২ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত উক্ত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের এক কোটি টাকা জমা করেন।

বাংলাদেশ কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ১৯৯২ সালের ২৮ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সরকারের এক কোটি টাকা ক্ষতি হয়। এ অভিয়োগে ১৯৯৪ সালের ৩ নভেম্বর তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন খাঁন বাদী হয়ে কাজী জাফর আহমদসহ চারজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেন।
 
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা বিবেচনায় ২০০৩ সালের ৫ মার্চ তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

মামলাটির কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত থাকায় প্রত্যাহারের আবেদনের ওপর শুনানি করা যায়নি।
 
সম্প্রতি  হাইকোর্টে মামলাটি স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার করে নিলে বুধবার আবেদনের ওপর শুনানি শেষে মামলা প্রত্যাহারের আদেশ দিয়ে কাজী জাফরকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অপর মামলাটি দায়ের করেন তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা লুৎফর রহমান। ১৯৯৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গুলশান থানায় তিনি এ মামলা দায়ের করেন।
 
তার বিরুদ্ধে সম্পদের হিসাব বিবরণীতে ২২ লাখ ৮২ হাজার ৬২৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও খুলনায় তার পৈত্রিক ৩৯ একর জমি ও তার উপর পাঁচটি দোকানের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।