ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার নেবে ভুটান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১

ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার নেবে ভুটান। মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।



সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জিগমে ওয়াই থিনলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

একই সময় উভয় দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়।

এছাড়া দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশের জলবিদ্যুৎ ও পর্যটন খাতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভুটানের প্রতি আহবান জানান।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশের চিকিৎসকরা ভুটানে চাকরি করতে পারবেন।

সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দল একে অপরের দেশ সফর করবেন।  

এর আগে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশের জলবিদ্যুৎ খাতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।

প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পর্যটন খাতে ‘প্যাকেজ সহযোগিতা’ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীও সমর্থন করেন। ’

প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতে ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগে অংশীদার হিসাবে অর্ন্তভুক্ত করা বা উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ সরাসরি বাংলাদেশের কাছে বিক্রির অনুরোধ করেন। এছাড়া ভুটানের পাহাড় ও উপত্যকা এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও সুন্দরবনকে ঘিরে প্যাকেজ ট্যুরিজমের প্রস্তাব করেন তিনি। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাবে সায় দেন।

এছাড়া উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার উপরও গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা। ভুটানের উন্নয়নে বাংলাদেশ দক্ষ ও আধা দক্ষ জনশক্তি দিয়ে সহায়তা করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিসহ কৃষি খাতেও এ ধরনের সহযোগিতা করতে পারে বাংলাদেশ। ’

এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার, চীনসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পারস্পারিক কানেক্টিভিটি এ অঞ্চলের সবার জন্য বিপুল সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পাদন করতে পারে ভুটান। এজন্য ট্রানজিট চুক্তি সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলছে। ’

দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আনুষ্ঠানিক আলোচনা শেষে স্বাস্থ্য সচিব হুমায়ুন কবির ও ভুটানের পররাষ্ট্র সচিব দাউ পেনজো স্ব স্ব পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন। সংস্কৃতি সচিব সুরাইয়া বেগম ও ভুটানের পররাষ্ট্র সচিব দাউ পেনজো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এএফএম রুহুল হক, তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ জিয়াউদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আবদুল আজিজ, পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার দুপুরে বাংলাদেশে আসেন।

সফরের তৃতীয় দিন বুধবার সকালে সুন্দরবন পরিদর্শনে যাবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার তিনি চট্টগ্রাম বন্দর, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও বৌদ্ধদের একটি প্যাগোডা পরিদর্শনে যাবেন।

শুক্রবার সকালে তার ভুটান ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ