ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

একনেকে পদ্মা সেতু প্রকল্প অনুমোদন, দুই মাসের মধ্যে কাজ শুরু

ইশতিয়াক হুসাইন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১
একনেকে পদ্মা সেতু প্রকল্প অনুমোদন, দুই মাসের মধ্যে কাজ শুরু

ঢাকা: পদ্মা বহুমুখী সেতুর সংশোধিত প্রকল্প মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনের পর পদ্মা সেতুর ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।



আগামী দুই মাসের মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে। একনেক বৈঠকের পর পরিকল্পনা কমিশনে এনইসি সম্মেলনেকক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকার এ কথা জানান।

প্রকল্প ব্যয় বাড়ার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, সেতুর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি, নকশা পরিবর্তন, ভূমির মূল্য বৃদ্ধি, বিভিন্ন অঙ্গের কাজের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধির কারণে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছিল এবং এসব কারণেই ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া পরামর্শকের সংখ্যা বাড়াও প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।    

কাগজপত্রে ২০১৩ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করতে পারবে কিনা - এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘বাস্তব সম্মত সময়ের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে। ’  

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে ৪ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। বাকি ১৬ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা আসবে প্রকল্প সাহায্য বাবদ।  

মহাজোট সরকার ২০১৩ সালের মধ্যে মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
প্রকল্পের অঙ্গভিত্তিক ব্যয় বিভাজনে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতুর প্রকল্পটি দারিদ্র বিমোচন কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।   প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জুন ২০১০ পর্যন্ত মোট ৫১৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে; যা মূল সংশোধিত ব্যয়ের দুই দশমিক ৫৩ শতাংশ। মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলা, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলা এবং মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা প্রকল্প এলাকা হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে।  

নকশা পরিবর্তন, সেতুর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি, জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন কারণে পদ্মা সেতুর ব্যয় বেড়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

২০০৭-০৮ অর্থবছরে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর প্রকল্প ব্যয় অনুমোদন দিয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। অনুমোদিত এই অর্থের তিন হাজার ২৮১ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল সরকারের। বাকি ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা আসবে প্রকল্প সাহায্য থেকে।

ওই সময় পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ২০১৫ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যও নির্ধারণ করা হয়েছিল।

এই প্রকল্পের অধীনে এক হাজার ১২৪ হেক্টর জমি, ১৪ কিলোমিটার নদী ব্যবস্থাপনা, ১২ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।

২০১০-১১ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ২০৮ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়। এর মধ্যে ৩শ’ কোটি টাকা সরকারি অর্থায়ন ও বাকি ৯০৮ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য থেকে আসার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ