ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বর্ডার গার্ড আইনে মন্ত্রিসভার অনুমোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১০

ঢাকা: সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন’ ২০১০ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রস্তাবিত আইনে বিচারের জন্য তিন ধরণের আদালত গঠন করার বিধান রাখা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের কাছে আইনটি অনুমোদনের কথা জানান।

সূত্র জানায়, সামরিক বাহিনী থেকে প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের অপরাধসহ ৩০ ধরনের অপরাধ চিহ্নিত করে নতুন আইনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। অপরাধের মাত্রা ভেদে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আর সর্বনিম্ন ভৎর্সনা। তবে সরকার বা বর্ডার গার্ডের মহাপরিচালককে যে কোনো শাস্তির আদেশ বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

অনুমোদন করা আইনে ১৬ টি অধ্যায় এবং ১৩৫ টি ধারা রয়েছে।

নতুন আইনে চিহ্নিত করা ৩০ টি অপরাধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজ, বিদ্রোহ, নেতৃত্বের বিরুদ্ধাচরণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, দুর্নীতি ইত্যাদি। অপরাধের ধরন অনুসারে বিশেষ বর্ডার গার্ড আদালত, বিশেষ সামরিক আদালত এবং সামারিক গার্ড আদালত এই তিন ধরণের আদালতে বিচার কাজ হবে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব জানান, মহাজোট সরকার গঠনের পর জুন ২০১০ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার মোট ৭৪ বৈঠকে ৪৯৮টি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪১১টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। আর বাস্তবায়নাধীন রয়েছে ৮৭টি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৮৭ শতাংশ। একই সময়ে বিগত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ছিলো ৬৪ শতাংশ।

একই সময়ে (জুন ২০১০ পর্যন্ত) মন্ত্রিসভা ১২০টি নতুন আইন-প্রস্তাব অনুমোদন করে যার মধ্যে ১০০টি জাতীয় সংসদে পাশ হয়ে আইনে পরিণত হয়। এছাড়া ১৫টি প্রস্তাব বিল আকারে সংসদে উপস্থাপিত হয়ে চূড়ান্ত হওয়ার অপোয় রয়েছে। ৫টি প্রস্তাব এখনো মন্ত্রণালয় পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রেসসচিব আরও জানান, বৈঠকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইন ২০১০ ও পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরা) আইন ২০১০ চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। আর জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরা প্রদান) আইন ২০১০ অনুমোদনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পারিবারিক সহিংসতা আইন প্রসঙ্গে আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ আইনের অপব্যাবহার করে কেউ মিথ্যা মামলা করলে সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে (নতুন আইনে)।    

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, নতুন এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি দশ বছর না, দুই বছর ধরা হয়েছে। আগের আইনে ছিল ছয় মাস।

প্রেস সচিব আরো জানান, বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারি সার্জনের ৫৮২টি পদে মেধাভিত্তিক নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত হয়। এ পদের জন্য সংরক্ষিত মুক্তিযোদ্ধা কোঠা পূরণ করা সম্ভব না হলে সেগুলো মেধাভিত্তিক পূরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময় : ১৯৪৪ ঘণ্টা, ১২ জুলাই, ২০১০।


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।