দিনাজপুর: দিনাজপুরে ব্যবসায়ীর ৫ লাখ টাকা মূল্যের কাপড় আটক করে আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের মামলায় ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ২০ জানুয়ারির মধ্যে কার্যকর করার আদেশ প্রদান করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় দিনাজপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই চাঞ্চল্যকর মামলার দিন ধার্য ছিল।
প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালতের বিচারক সোহাগ তালুকদার আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করতে স্বরাষ্ট্র সচিব এবং মহা-পুলিশ পরিদর্শকের মাধ্যমে সদর সার্কেল এএসপিকে আদেশ প্রদান করেন।
এ আগে গত ২১ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ডিবি পুলিশ সদস্য উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম, এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান, এএসআই জাহাঙ্গীর আলম এবং কনস্টেবল মোশাররফ ও রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিচারক মামলাটি আমলে নেন। একইদিন আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আদেশ প্রদান করেন আদালত।
কিন্তু গত ২৮ ডিসেম্বর এবং ৪ ও ১১ জানুয়ারি ৩টি ধার্য তারিখ অতিবাহিত হলেও আসামি ৫ ডিবি পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
এ ব্যাপারে সদর সার্কেল এএসপি মকবুল হোসেনকে প্রশ্ন করলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, আসামিরা ছুটি শেষ হওয়ার পরও কর্মস্থলে যোগদান করেনি। তারা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আসামিদেরকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর শহরের চাউলিয়াপট্টি মহল্লার আব্দুল গফুরের পুত্র হাসমত আলী গত ৭ অক্টোবর ঢাকা থেকে ৪ লাখ ৫২ হাজার ১৫০ টাকা মূল্যের শাড়ি ও অন্যান্য দেশিয় কাপড় কিনে বাস যোগে দিনাজপুরে ফিরছিলেন। একই দিন দুপুরে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের ঘোড়াঘাট হাইওয়ে রাস্তায় সাদা পোশাকে থাকা ডিবি পুলিশের ৫ সদস্য কোচটি থামিয়ে ৫ গাইট দেশি কাপড় নিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে কাপড়গুলো ফেরৎ পেতে তিনি যোগাযোগ করলে ডিবি পুলিশের ওই সদস্যরা তাকে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিবি পুলিশের এসআই আমিনুল হক ৮টি শাড়ি আটক দেখিয়ে বাদবাকি কাপড় আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী হাসমত উল্লেখিত মূল্যের কাপড় আত্মসাত করার অভিযোগে আদালতে ডিবি পুলিশের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১