ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাঁয়ের কৃষক থেকে শুরু করে সবার উন্নয়ন দরকার: ইয়াফেস ওসমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১

সিলেট: বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে শুধুমাত্র কোনও কাস (শ্রেণী) বা কোনও অংশের উন্নতি নয়। বরং অজপাড়া গাঁয়ের কৃষক থেকে শুরু করে সবার উন্নয়ন দরকার।



এর কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, গ্রামের মানুষও বুঝে গেছে সঠিক তথ্য পেলে এবং তা কাজে লাগাতে পারলে জীবনে উন্নতি সম্ভব।

তাই সবাইকে তথ্য ও প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় জ্ঞান দিয়ে যোগ্য করে তুলতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

মঙ্গলবার সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি আয়োজিত ‘কনফারেন্স অন ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্স অ্যান্ড এডুকেশন-২০১১’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ইয়াফেস ওসমান বলেন, সমাজের সাধারণ মানুষ যে লক্ষ্যে তাদের কষ্টার্জিত আয়ের একটি অংশ সরকারকে দিয়ে থাকে তা পূরণের মানসিকতা নিয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে পারলে এ সমাজে আর সমস্যা থাকবে না। কিন্তু আমরা শিক্ষিত হয়ে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাই এবং উল্টো তাদের ওপর চেপে বসি। সম্পদের টানে আমরা অনেক সময় নীতি-আদর্শকেও ভুলে যাই।
 
শিক্ষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্ম চিন্তা ও মননে এখন অনেক অগ্রসর। এদের মানসিকতা বুঝে পাঠদান করতে হবে। এজন্য শিক্ষকদের প্রচুর অধ্যয়ন ও জ্ঞানচর্চা প্রয়োজন। আর জ্ঞানচর্চা না করলে তা মড়া নদীর স্রোতে হারিয়ে যায়।

এ সময় তিনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়েরও প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, দেশে তথ্য ও প্রযুক্তির বিকাশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রদূতের ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। বিশেষ করে মোবাইলর ফোনের মাধ্যমে ভর্তি রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করায় প্রযুক্তির বিকাশের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। এখন সরকার এ পদ্ধতি অনুসরণ করে তথ্য-প্রযুক্তি সেবা সাধারণের কাছে পৌঁছাতে পারছে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. সালেহ উদ্দিন বলেন, দেশে তথ্য ও প্রযুক্তির বিকাশের জন্য প্রযুক্তি শিক্ষায় সরকারি বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে।

দেশে তথ্য-প্রযুক্তি বিকাশে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে দাবি করে তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স’র আওতায় এ বছর নতুন আরও তিনটি  বিভাগ খোলা হয়েছে। এসব বিভাগের ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠাসহ সুন্দর অবকাঠামো গড়ার লক্ষ্যে সরকারি বরাদ্দ প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পিকার ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)’র সাবেক উপাচার্য ড. এ এম এম শফিউলাহ ডিজাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশ ফর দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পেশাকে আরও অগ্রসর করতে ইঞ্জিনিয়ারদের যোগ্য উদ্যোক্তা ও সৃজনশীল হতে হবে।

তিনি বলেন, তবে ইঞ্জিনিয়ারদের সামাজিক স্বীকৃতি পেতে হলে নিজেদের পেশাকে সামাজিক কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে।

সম্মেলনের আহ্বায়ক ও স্কুল অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস’র ডিন ড. মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স অনুষদের বিভিন্ন বিভাগ দেশে বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে লিংকেজ প্রোগ্রাম স্থাপন ও বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন করে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার গুণগত মানের উন্নয়ন করে যাচ্ছে।

এ সম্মেলনের লক্ষ্যও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা বলে জানান তিনি।
 
অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি ক্রেস্ট তুলে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।