ঢাকা: ২০১০ সালে প্রথম বারের মতো সারাদেশে অনুষ্ঠিত জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ দুই বিষয়ে অকৃতকার্যরা নবম শ্রেনীতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। ২০১১ সালের পরীক্ষায় তারা অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
এছাড়া সর্বোচ্চ তিন বিষয়ে অকৃতকার্যরা ২০১১ সালের পরীক্ষায় শুধু ওই তিন বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের নিয়ে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল পর্যালোচনা বৈঠক শেষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছরের পরীক্ষার ফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, যে কোন দুটি বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখের বেশি। এসব শিক্ষার্থীর অনেকেই হয়তো ঝরে যেতে পারে। সে আশঙ্কা থেকেই শিক্ষার্থীদের এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুই বিষয়ে অকৃতকার্যরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণীতে অধ্যয়ণ করবে। তবে যেসব বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পর্যায় নেই তারা পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে। তবে কোন অবস্থাতেই বোর্ড পরিবর্তন করা যাবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ১ নভেম্বর পরবর্তী জেএসসি- জেডিসি পরীক্ষা শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন জানান, অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে দুই বা ততোধিক বিষয়ে অকৃতকার্যদের ভিন্ন রংঙের ফরমের মাধ্যমে ফরম ফিল-আপ করানো হবে।
তিনি জানান ২০১০ সালের জেএসসি পরীক্ষায় ইংরেজীতে ১লাখ ৭৫ হাজার ১৪৬ জন, গণিতে ২ লাখ ৭ হাজার ৭৭২ জন এবং সাধারণ বিজ্ঞানে ৫৮ হাজার ১৩৬ জন অকৃতকার্য হয়।
তিনি আরো জানান, জেডিসি পরীক্ষায় ইংরেজীতে ১৫ হাজার ৪০৮ জন, গণিতে ১৩ হাজার ১২৩ জন এবং সাধারণ বিজ্ঞানে ১২ হাজার ৪৮৭ জন এবং আরবিতে ১৮ হাজার ১১৩ জন অকৃতকার্য হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১