ঢাকা: বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য কর্মসূচির আওতায় প্যানডেমিক ইনফুয়েঞ্জা প্রতিরোধে সফলতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নবাগত প্রতিনিধি ড. অরুণ থাপা ।
সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হকের সঙ্গে সাক্ষাতকালে ড. থাপা এ প্রশংসা করেন।
এসময় বাংলাদেশে জরুরি চিকিৎসার উন্নয়নে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতার প্রশংসা করে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘জরুরি চিকিৎসা হচ্ছে হাসপাতালের সেবার প্রারম্ভিক ও মূল পরিচয়। ’
কমিউনিটি কিনিকের কর্মীদের প্রশিণের ম্যানুয়াল প্রণয়ন ও মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিণ প্রদানের সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘বাংলাদেশ এমডিজি-৪ অর্জনে সঠিক পথে থাকলেও এমডিজি-৫ অর্জনের প্রতি আরো গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সরকার এ বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে। ’
মন্ত্রী বলেন, ‘এমডিজি-৪ ও এমডিজি-৫ এ দুটিকে আলাদাভাবে দেখার সুযোগ নেই। শিশু মৃত্যু হ্রাসে সফলতার পাশাপাশি মাতৃমৃত্যু হ্রাসেও সমভাবে সফলতা অর্জন করতে হবে। এছাড়া মাতৃমৃত্যু হ্রাসের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদপে হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ মাকে চিহ্নিত করা। এ কাজটি করা গেলে তাদের সঠিক পরামর্শ ও সেবা প্রদান কঠিন কাজ নয়। ’
এসময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির, স্বাস্থ্য সচিব শেখ আলতাফ আলী, অতিরিক্ত সচিব একেএম আমীর হোসেন এবং সংশিষ্ট যুগ্মসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১১