ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের গোপন সামরিক আদালতে বিচারের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়েছে। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ. মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার এ শুনানি শুরু হয়।
শুনানিতে হাইকোর্ট অভিমত দিয়েছেন, কর্নেল তাহেরের সঙ্গে গোপন বিচারের মুখোমুখী সিরাজুল আলম খান, হাসানুল হক ইনু, শরীফ নুরুল আম্বিয়া, আ স ম আব্দুর রব ও জিয়াউদ্দিন চাইলে শুনানিতে বক্তব্য রাখতে পারবেন।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ড. শাহদীন মালিক।
শুনানিতে তিনি বলেন, গোপন আদালতে কর্নেল তাহেরের বিচার হয়েছে। আমাদের সংবিধানে গোপন বিচারের কোন সুযোগ নেই। বিচার হতে হবে প্রকাশ্য। তাই গোপন আদালতে তাহেরের বিচার অবৈধ।
তিনি বলেন, কর্ণেল তাহেরের গোপন বিচারের দশ দিন পর আইন সংশোধন করে বলা হয়, বেসামরিক ব্যক্তিদেরও সামরিক আইনে বিচার করা যাবে। কর্নেল তাহেরের ক্ষেত্রে ওই আইন প্রযোজ্য হবে না। কারণ বিচারের সময় ওই আইন ছিলো না।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, পাঁচ সদস্যের সামরিক আদালতে কর্নেল তাহেরের বিচার হয়েছে। কর্নেল ইউসুফ হায়দার ছিলেন সে ট্রাইব্যুনালের প্রধান।
আগামীকাল মঙ্গলবার আবারও রুলের শুনানি হবে।
কর্নেল তাহেরের গোপন বিচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তার ভাই ড. এম আনোয়ার হোসেন, তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের ও সামরিক আদালতের বিচারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আরেক ভাই প্রয়াত ফাইট সার্জেন্ট আবু ইউসুফ খানের স্ত্রী ফাতেমা ইউসুফ গত আগস্টে রিট আবেদন দায়ের করেছিলেন।
এ নিয়ে ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলো। রুলে তাহেরের গোপন বিচারের জন্য ১৯৭৬ সালের ১৬ নম্বর সামরিক ফরমানের আওতায় আদালত গঠন, এর আওতায় গোপন বিচার এবং তাহেরের ফাঁসি কার্যকর করা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময় ১৯২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১১