ঢাকা: সংঘবদ্ধ প্রতারক দলের প্রতারণার শিকার হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন বাবু মিয়া নামে ঝিনাইদহের এক কয়লা ব্যবসায়ী।
সেগুনবাগিচার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাবু মিয়া জানান, বছর পাঁচেক আগে ইট ব্যবসার মাধ্যমে রাজধানীর উত্তরখান থানা এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে বেশ কিছু টাকার ইট তিনি বাকীতে নজরুলের কাছে বিক্রি করেন। বাকীর টাকা পরিশোধে নজরুল তাকে চেক প্রদান করেন ও একটি অঙ্গীকারনামা করে দেন। কিন্তু চেক ভাঙ্গানোর সময় পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেক বাজেয়াপ্ত করে।
বাবু মিয়া আরো জানান, এ ঘটনায় অঙ্গীকারনামা অনুযায়ী টাকা প্রদান না করায় তিনি ঝিনাইদহ জজকোর্টে দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলোতে নজরুল গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় দেড় বছর জেল খেটে জামিনে বের হন।
পরে আদালতে হাজিরা না দেওয়ার কারণে আবারও নজরুলের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বাবু মিয়া অভিযোগ করেন, পরোয়ানার ব্যাপারে উত্তরখান থানায় যোগাযোগ করলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম উল্টো তাকেই মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেন এবং আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিপরীতে একটি জামিননামা দেখান।
এ ঘটনার পর নজরুল ও তার সহযোগীরা তাকে বেদম মারধর করে গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যান।
বাবু মিয়া আরো অভিযোগ করেন, স্থানীয় লোকজনের কাছে নজরুল ইসলাম ‘চিটার নজরুল’ বা ‘প্রতারক নজরুল’ নামে পরিচিত। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে একই জমি একাধিকবার বিক্রি করাই তার কাজ। এ বিষয়ে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট থানার ওসি’র সঙ্গে তার সুসম্পর্কের কারণে নজরুল ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাবু মিয়া নজরুল ইসলামসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও পুলিশের হয়রানি থেকে রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১১