ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিপ্লবী বিনোদ বিহারীকে নাগরিক সংবর্ধনা দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১১
বিপ্লবী বিনোদ বিহারীকে নাগরিক সংবর্ধনা দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

কলকাতা: বিপ্লবী মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের সতীর্থ বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরীকে সোমবার তার ১০১তম জন্মদিনে নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কলকাতার চট্টগ্রাম পরিষদ।

এদিন দুপুর ১২টায় দক্ষিণ কলকাতার মধুসূধন মঞ্চে এ নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।



পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিপ্লবী নায়কের হাতে শাল, মিষ্টি ও একটি ক্রেস্ট তুলে দেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সৌমেন্দ্রনাথ বেরা।

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম পরিষদের সভাপতি রেণুকা গুহ ও সম্পাদক সরোজ রঞ্জন চৌধুরী।

বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী মধুসূধন মঞ্চ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুল বৃষ্টি করে ও শাঁখ বাজিয়ে তাকে অর্ভ্যথনা জানায় কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা।

শতোত্তীর্ণ জন্মদিনে বিনোদ বিহারী চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়ে ড. সৌমেন্দ্রনাথ বেরা বলেন, ‘আজ বিশেষ সৌভাগ্য আমার যে এরকম একটি অনুষ্ঠানে আসতে পেরেছি। বিপ্লবী নায়ক বিনোদ বিহারী চৌধুরীকে রাজ্য সরকার যে অনুরোধ করেছিলেন তা তিনি রেখেছেন, এতে আমরা আনন্দিত। ’

তিনি বলেন, এই সংর্বধনা আসলে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের যে মূল্যবোধ তাকে আরেকবার জাগ্রত করবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও তিনি চট্টগ্রামে থেকে মাস্টার দার আর্দশে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বর্তমান বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। আজ তাই আমরা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই বিপ্লবী নায়ককে সংবর্ধনা দিতে পেরে গৌরব বোধ করছি।

বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী তার সুদীর্ঘ জীবনের ইতিহাস তুলে ধরেন।

সেইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমার ১০১ বছর কী করে যে হয়ে গেল তা বুঝতে পারলাম না। আমি মানুষকে ভালবাসি, রাজনীতি করি না। মানুষ নির্যাতিত হলে আমি ছুটে যাই। আজ ভোরে ফোনে আমায় শুভেচ্ছা জানিয়ে চট্টগ্রামের মেয়র বলেন, দাদা আপনি আরও বাঁচুন। এ কী হয়? আামি আমার অন্তরের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। আমি সংবর্ধনা চাই না। মাস্টারদা বলেছিলেন, কোনও প্রচারে থাকবে না। আমি ক্ষমা চাইছি মাস্টার দা।

তিনি বলেন, ভোগে সুখ নাই, সুখ আছে ত্যাগে। আমরা যেন ভোগ করে আত্মহত্যা না করি। আসুন মানুষ হই। বিশ্বজুড়ে এই হানাহানি বন্ধ হোক। আমি মনে প্রাণে এখনও গান্ধীজির আর্দশ বিশ্বাস করি। ধর্মের নামে মানুষ মারা বন্ধ হোক।

এদিন, কলকাতার বিভিন্ন কাব, প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ ও গণসংগঠনের পক্ষ থেকেও তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।