ঢাকা: বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) প্রস্তাবিত বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে সরকার। আর এই কারণে গণশুনানির তারিখ পরিবর্তনও করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর পিডিবির বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
১৯ জানুযারি অনুষ্ঠেয় গণশুনানির আগে পিডিবির প্রস্তাবটি পাঠানো হবে কারিগরি কমিটিতে।
এদিকে, স্টেকহোল্ডার মতামত দেওয়ার জন্য আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে স্টেক হোল্ডাররা তাদের আপত্তি, মতামত সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষকে (পিডিবি) লিখিতভাবে জানাবে। পিডিবি এসবের উত্তর দেবে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিদ্যুতের দামের বিষয়টি নিয়ে কাজ করার সুবিধার্থে তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে। ’
তবে এর বেশি তিনি আর কিছু বলতে চাননি।
গত ১ নভেম্বর পিডিবি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এ প্রস্তাবনা পিডিবিতে পাঠায়।
দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে পিডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যয় বাড়ার কারণে পিডিবির লোকসান বাড়ছে। এই লোকসান কমানোর জন্য ২০০৯-১০ সালে বিদ্যুতের প্রকৃত সরবরাহ ব্যয় এবং ২০১০-১১ ও ২০১১-১২ সালের প্রাক্কলিত ব্যয়ের ভিত্তিতে নির্ণয় করা সরবরাহ ব্যয় অনুযায়ী দাম বাড়ানো প্রয়োজন।
তবে গ্রাহক পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য পিডিবি প্রতি ৬ মাস পরপর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১২ শতাংশ হারে বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।
পিডিবির প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দেখা যায় প্রতি বছর পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। সে অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি ইউনিট পাইকারি বিদ্যুতের দাম যেখানে দুই টাকা ৩৭ পয়সা, সেখানে ১ জানুয়ারি ২০১১ থেকে তা হবে ২ টাকা ৯৭ পয়সা। ১ জুলাই ২০১১ থেকে তা হবে ৩ টাকা ৩৩ পয়সা। ১ জানুয়ারি ২০১২ থেকে হবে ৩ টাকা ৭২ পয়সা। ১ জুলাই ২০১২ থেকে হবে ৪ টাকা ১৭ পয়সা। ১ জানুয়ারি ২০১৩ থেকে ৪ টাকা ৬৮ পয়সা।
সর্বশেষ ২০০৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৬ শতাংশ বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫, ৬ ডিসেম্বর, ২০১১।