ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সাত বৈমানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

ইশতিয়াক হুসাইন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১১
সাত বৈমানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

ঢাকা: আন্দোলনকারী সাত বৈমানিককে অভিযুক্ত করে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। এসব বৈমানিকের বিরুদ্ধে বিমানের আর্থিক ক্ষতি, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করাসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।

আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাখ্যা চেয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।  

অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

অভিযুক্ত সাত বৈমানিক হলেন- বাংলাদেশ এয়ারলাইন পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন বাসিত মাহতাব, জ্যৈষ্ঠ বৈমানিক ক্যাপ্টেন এসএম হেলাল, ক্যাপ্টেন মাকসুদ, ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক আহমেদ, ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান ও ক্যাপ্টেন শাহ আলম।

অভিযুক্ত বৈমানিক ক্যাপ্টেন মাকসুদ বৃহস্পতিবার রাতে বাংলানিউজকে তাদের বিরুদ্ধে গঠন করা অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি-না বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেননি নেতারা।

ক্যাপ্টেন মাকসুদ বলেন, ‘সম্প্রতি বিমান ৮১ কোটি লোকসান হয়েছে। এ বিষয়টি আড়াল করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ’

বাপা সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় বৈমানিকরা বিমানের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত বাপা অফিসে গেলে বিষয়টি জানতে পারেন। বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) রাজপতি সরকার স্বাক্ষরিত এই চিঠি বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাতে পাননি বৈমানিকেরা। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অক্টোবর মাসে বৈমানিকদের আন্দোলনের কারণে বিমানের ৭ কোটি ৩০ লাখ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়েছে শতশত কোটি টাকার।

অক্টোবর মাসের আন্দোলনের পর বিমান কর্তৃপক্ষ পরিচালক (ফাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন নাসেরকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিমান সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই অভিযোগপত্র গঠন করা হয়েছে। কমিটি গত ডিসেম্বর মাসে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়।

গত অক্টোবর মাসে আন্দোলনের প্রত্যাহারের পর প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস দিয়েছিলেন বৈমানিকদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এরপরও এ ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাপার নেতারা।

বৈমানিকদের অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬২ করার অফিস আদেশ বাতিল, বিমানের সব ওয়েট লিজ বাতিল করে তা ড্রাই লিজে পরিণত করাসহ ৫ দফা দাবিতে গত ২১ অক্টোবর বিমান কর্তৃপক্ষকে আলটিমেটাম দেয় বাপা। এর প্রেক্ষিতে ২২ অক্টোবর থেকে মাসে ৭০ ঘণ্টার বেশি ফাইট চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় চার বৈমানিককে ফাইট পরিচালনা থেকে সাময়িক অব্যাহতিসহ কয়েকজনকে শোকজ করা হলে তারা হজ ফাইট বাদে সব ধরনের ফাইট চলাচল বন্ধ করে দেয়। টানা ৯ অচলাবস্থার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে বৈমানিকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেও জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।