ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাতীয় অধ্যাপক হচ্ছেন ৪ জন, প্রার্থী ২৪

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১১
জাতীয় অধ্যাপক হচ্ছেন ৪ জন, প্রার্থী ২৪

ঢাকা: চার জন জাতীয় অধ্যাপকের নাম আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।   বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রস্তাবিত ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে থেকে এই চারজনকে বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

নাম চূড়ান্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘জাতীয় অধ্যাপক নির্বাচন কমিটি’ আগামী ৬ জানুয়ারি বৈঠকে বসবে।

জীবিত রয়েছেন এমন তিন জন জাতীয় অধ্যাপকের মেয়াদ আগামী ৩১ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জাতীয় অধ্যাপক করার জন্য ২৪ বিশিষ্টজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এরা হলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, অধ্যাপক সরদার ফজলুল করিম, অধ্যাপক ড. সানজিদা খাতুন, অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এম আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক প্রাণগোপাল দত্ত, অধ্যাপক শাহেলা খাতুন, অধ্যাপক ডা. সোহরাব আলী, অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক জিএম হাবিবুল্লাহ, অধ্যাপক ড. সোহরাবউদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক ড. এম আলাউদ্দিন, অধ্যাপক ড. মোশাররাফ হোসেন, অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. খোন্দকার শাফায়েত হোসেন,  অধ্যাপক ড. সদরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. নূরউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন খান, অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী ও অধ্যাপক ড. আবুল কালাম পাটওয়ারী।  

সরকার সর্বশেষ ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি চারজনকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে ঘোষণা করে।  

এরা হচ্ছেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক আব্দুল মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম আমিনুল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান।

এদের মধ্যে এ কে এম নুরুল ইসলাম ইন্তেকাল করায় জাতীয় অধ্যাপকের একটি পদ শূন্য হয়।

মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে ওই শূন্য পদে একজনকে নিয়োগ দিতে গত ২০০৯ সালের আগস্টে কমিটি ঘোষণা করে। যদিও পরবর্তীতে আর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

বর্তমানে নতুন করে শুরু হওয়া প্রক্রিয়ায় নতুন চারজনকেই জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।  

জাতীয় অধ্যাপক (নিয়োগ, শর্তাবলী ও সুবিধা) সিদ্ধান্তমালা ১৯৮১ (সংশোধিত) অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় জাতীয় অধ্যাপক নিয়োগের বাছাই করে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি জাতীয় অধ্যাপকের চূড়ান্ত মনোনয়ন দেন। পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় অধ্যাপকদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এসময় তারা নির্দিষ্ট ভাতাসহ যেকোনো বিষয়ে গবেষণা করতে পারেন।    

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে সভাপতি করে গঠিত ‘জাতীয় অধ্যাপক নির্বাচক কমিটি’র অন্য সদস্যরা হলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক।

যাদের জন্য যাদের সুপারিশ:
দর্শনবেত্তা সরদার ফজলুল করিমের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে সুপারিশ করেছেন জাতীয় অধ্যাপক কবির চৌধুরী, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ড. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, অধ্যাপক এমএম আকাশ ও অধ্যাপক জাফর ইকবাল।  

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) সাত জনের নামে প্রস্তাব জমা দিয়ে সুপারিশ করেছে। তারা হলেন ঢাবি’র ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, সিপিডি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, ছায়ানটের প্রধান অধ্যাপক ড. সানজিদা খাতুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণগোপাল দত্ত এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী সুপারিশ করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের প্রসূতি ও ধাত্রী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহেলা খাতুনের জন্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ণ বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. সোহরাব আলীর জন্য সুপারিশ করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালটির উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণগোপাল দত্ত।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেছে। এছাড়াও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরউদ্দীন আহমদ, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন খান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সোহরাবউদ্দিন আহমদের নামেও সুপারিশ করেছে বুয়েট।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রস্তাব এসেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত ড. মেসবাহউদ্দীন আহমেদের নামে। বিশ্ববিদ্যালয়টির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. এম আনিসুজ্জামানের নাম প্রস্তাব করেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব করেছে অধ্যাপক জিএম হাবিবুল্লাহর নাম।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সদরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী অবশ্য নিজেই নিজের নামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব জমা দিয়েছেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছে ছয় জনের নাম। তারা হলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আলাউদ্দিন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশাররাফ হোসেন, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. খোন্দকার শাফায়েত হোসেন, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম পাটওয়ারী।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।