ঢাকা: আমলাদের তথ্য গোপনের মানসিকতার কারণে তথ্য অধিকার আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সেইসঙ্গে জনবল, সহায়ক তথ্য প্রযুক্তি ও সচেতনতার অভাব এ আইন বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার রাজধানীতে দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক দিনের শেষে আয়োজিত ‘তথ্য অধিকার ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা এ অভিযোগ করেন।
তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন হলে সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। আর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকলে দেশে দুর্নীতিও কমে যায়।
তথ্য কমিশনার ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমলারা মনে করেন তথ্য শুধু তাদের কাছেই থাকবে। অথচ তথ্য দিলে জনগণ ক্ষমতায়িত হয়।
এ সময় তিনি তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘কমিশনে জনবল নিয়োগের জন্য আমরা মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কম্পিউটার, প্রিন্টারসহ কোনও যন্ত্রপাতি নেই। ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, যে অফিসগুলোতে সাধারণ মানুষ সেবা ও তথ্য পেতে বেশি হয়রানির শিকার হয়, জনবল ও তথ্য প্রযুক্তি দিয়ে প্রথমে সেসব অফিসকে তথ্য প্রদানের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।
কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, গ্যাস ব্লক ইজারা প্রদান, বড় পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলনের পদ্ধতি এবং কোন বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কী ধরনের চুক্তি হয়েছে-এ ধরনের বিষয়গুলো জনগণকে জানালে দেশ অনেক সংঘাত থেকে রক্ষা পেত।
প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শাহরিয়ার আলম, সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরী, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম , এপি’র ঢাকা ব্যুরো প্রধান ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি পরিচলানা করেন ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১১