ঢাকা: অপহরণকারীদেও হাতে মুক্তিপণের এক লাখ টাকা তুলে দেওয়ার পরও মুক্তি মেলেনি আশুলিয়ায় অপহৃত কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ী বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন জোয়ারদারের।
বিষয়টি উল্লেখ করেই শুক্রবার সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন অপহৃত নাজিম উদ্দিন জোয়ারদারের (৪৫) ছোটভাই জমির উদ্দিন জোয়ারদার।
অপহৃতের পারিবারিক সূত্র বলেছে, নাজিম উদ্দিন জোয়ারদার কুষ্টিয়ার গ্রাম সরকার রাইস মিলের মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন আশুলিয়া অঞ্চলে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই নিখোঁজ হন তিনি। বন্ধ পাওয়া যায় তার মোবাইল ফোনটিও। হাসপাতাল, থানাসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার পরিবার।
এর মধ্যে শুক্রবার দুপুরের পর অপহৃতের পরিবারেও মোবাইল ফোনে জানানো হয়, নাজিম উদ্দিন জোয়ারদারকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহারণকারীরা জানায়, মুক্তিপণের এক লাখ টাকা নরসিংহপুর এলাকায় তাদের বর্ণনা মতো ব্যক্তির কাছে তুলে দেওয়া হলেই ছেড়ে দেওয়া হবে তাকে।
সর্তক করে দিয়ে আরো বলা হয়, পুলিশ কিংবা র্যাবসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে এ তথ্য দেওয়া হলে নাজিম উদ্দিন জোয়ারদারকে হত্যা করা হবে।
ছোটভাই জমির উদ্দিন জোয়ারদার জানান, আশুলিয়ায় নরসিংহপুরে হা-মীম গ্র“পের তৈরি পোশাক কারখানা সংলগ্ন একটি কাঁঠালবাগানে একলাখ টাকা তুলে দেওয়া হয় অপহরণকারী চক্রের হাতে। তবে তারপরও মুক্তি মেলেনি তার ভাইয়ের।
অপহরণকারীরা প্রতারনার আশ্রয় নিচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, টাকা দেওয়ার পরও যখন ভাইকে পেলাম না তখন মামলার পথ ছাড়া কোনো পথ খোলা ছিলো না।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের আগেই পুলিশের কাছে আসা উচিৎ ছিলো।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন জানান, অপহরণের পূর্বাপর ঘটনা পর্যালোচনা করা হচ্ছে, আশা করি শিগগির অপহরণকারীদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে।
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অপহরণকারীদের কেউ যোগাযোগ না করায় অপহৃতের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে অপহৃতের পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১০