ঝিনাইদহ: এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে যুবলীগের তিন কর্মী খুনের ২২ ঘন্টা পরও ঝিনাইদহ থানায় কোনো হত্যা মামলা দায়ের হয়নি। তবে পুলিশ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ার গোলাম সারোয়ারের ছেলে সেলিম ও রেজাউল করিমের ছেলে পারভেজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
এদিকে নিহত তিনজনকে নিজেদের কর্মী হিসেবে দাবি করেননি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান। অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে নিহতদের সন্ত্রাসী হিসেবে দাবি করা হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আলমকে পবাহাটি, সোহানকে পোড়াহাটি ও বজলুর রহমানকে ভুটিয়ারগাতি গ্রামের নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের সহকারী পুলিশ সুপার ফয়সাল আহম্মেদ জানান তিন যুবক নিহত হওয়ার ২২ ঘন্টা পরও কেউ মামলা করতে আসেনি। তবে লাশ দাফনের পর হয়তো মামলা হতে পারে বলে তিনি জানান।
এদিকে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান জানান, নিহতরা কেউ যুবলীগের নেতা বা কর্মী নয়। তবে যুবলীগ নেতাদের আত্মীয়।
তিনি নিহতদের চেনেন না দাবি করে জানান তারা দলীয় কোনো কোন্দলে নিহত হয়নি।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র জাহাঙ্গীর ও মাসুদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, নিহতরা কেউই যুবলীগের কর্মী নয়, তারা সন্ত্রাসী। তবে যুবলীগ নেতা মাসুদ গ্র“প ও জাহাঙ্গীর গ্র“পের সঙ্গে তারা চলাফেরা করতো। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ দুই গ্র“পের মধ্যে বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে ঝিনাইদহ শহরের পবাহাটি চৌরাস্তার মোড় গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের জাহাঙ্গীর ও মাসুদ গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষে পবাহাটি গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে আলম (৪১), ভুটিয়ারগাতি গ্রামের ইমরুল হোসেনের ছেলে বজলুর রহমান (২৮) ও পোড়াহাটি গ্রামের মওলা বক্সের ছেলে সোহান নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১০