ঢাকা : পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রহমানকে নৃশংসভাবে খুন করে হত্যাকারি নিজে আত্মহত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তবে হত্যার কারণ এবং খুনির আত্মহত্যার রহস্যের জট এখনো খুলে নি।
গত মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনা এলাকার শুভ ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ হতে পুলিশের পাবলিক অর্ডার অ্যান্ড ম্যানেজম্যান্ট (পিওএম) বিভাগের কনস্টেবল আব্দুর রহমান (৪৫) ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু শহিদুল্লাহর (৫০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রহমানের মামা তারিকুল হাসান খান বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পর অজ্ঞাত কোন দুস্কৃতিকারি চক্র এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়।
এসআই আনোয়ার হোসেন আরো জানান, পরবর্তীতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং লাশের সুরতহালের পর পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে ঘাতক শহীদুল্লাহ তার বন্ধু আব্দুর রহমানকে ছুরিকাঘাতে খুনের পর নিজে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
শুক্রবার পুলিশের তদন্তকারি দলটি কনস্টেবল আব্দুর রহমানের কর্মস্থল সাভার এলাকা এবং শহীদুল্লাহর কর্মস্থল সিএনজি স্টেশনে তদন্তের কাজে যায় বলে জানান আনোয়ার হোসেন।
এসআই আনোয়ার হোসেন এ সময় বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রহমানকে কেনো হত্যা করা হলো এবং হত্যার পর কেনোইবা শহীদুল্লাহ আত্মহত্যা করলো, এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময় ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১০