গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় শুক্রবার সকালে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে দেড় ঘণ্টাব্যাপী রক্তয়ী সড়কিযুদ্ধ হয়েছে। এ যুদ্ধে নারীসহ কমপে ২০ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় ৬টি বাড়ি ও ১টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামে সকাল ৭টা দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
উভয়পক্ষের সড়কিযুদ্ধের সময় পাটকেলবাড়ি, শশাবাড়িয়া ও ঘোড়াদাইড় গ্রাম থেকে লোকজন এসে সংঘর্ষে যোগ দেয়। পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিলে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ এসে ৫ জনকে আটক করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় ইদ্রিস শেখ (৫০), নুরু খাঁ (৩৫), হাবিব মোল্লা (৩৫), বাবলু মোল্লা (২৫), মহর শেখ (৪৫) ও কুলসুম বেগম (৩৫)-কে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মধুমতি নদীর চর দখলকে কেন্দ্র করে পুখুরিয়া গ্রামের ইউপি মেম্বর ইস্রাফিল শেখের সঙ্গে একই গ্রামের হাবিব খাঁর বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে যোগানিয়া বাজার থেকে ফেরার সময় চরপুখুরিয়া বাজারে ইস্রাফিলের সমর্থক জাহিদ শেখ (৩২) প্রতিপ হাবিব খাঁর সমর্থক তাহের খাঁকে (৩২) মারপিট করে।
এ ঘটনার জের ধরে দু’পরে লোকজন শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রে সর্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মহূর্তের মধ্যে এলাকাটি রণেক্ষেত্র পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে কালু খাঁর দোকান ও বাড়ি, আতিয়ার রহমান মোল্লা, সাঈদ মোল্লা, হাবিবুর রহমান মোল্লা, মাহবুব মোল্লার বাড়িঘর ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয়।
খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এএসপি সার্কেলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইকরাম খাঁ (৩০)সহ ৫ জনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এবিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. বোরহান উদ্দিন সংঘর্ষ, বাড়িঘরে হামলা এবং ভাঙচুরের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১০