ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জেএসসি- জেডিসি পরীক্ষা: বৃত্তি পাচ্ছে ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী

উবায়দুল্লাহ বাদল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১০
জেএসসি- জেডিসি পরীক্ষা: বৃত্তি পাচ্ছে ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী

ঢাকা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট(জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট(জেডিসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ৩৬ হাজার ৮০০ জনকে এবার বৃত্তি দেবে সরকার। জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ন ৩০ হাজার ৮০০ জন ও জেডিসি পরীক্ষায় উর্ত্তীন ৬ হাজার জনকে এ বৃত্তি দেওয়া হবে।



মাদ্রাসায় এবারই প্রথমবারের মতো বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এর আগে স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সারাদেশে মোট ২২ হাজার বৃত্তি দেওয়া হয়। এ বছর স্কুলে ৮ হাজার ৮০০ বৃত্তি বাড়ানো হচ্ছে।

এ জন্য সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রস্তাবটি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেলে এ বছর থেকেই তা কার্যকর করা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুত্র জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এবার বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে কি পরিমাণ বাড়বে দু’একদিনের মধ্যেই বৈঠক করে নির্ধারণ করা হবে। মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে এর আগে কখনো বৃত্তি দেওয়া হয়নি। বৃত্তি দেওয়ার েেত্র এবার তাদেরও বিবেচনায় আনা হবে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, এ মুহুর্তে কিছু বলা যাবে না। জানুয়ারির শেষদিকে এ ব্যাপারে বলা যাবে। আগে যেখানে পৌনে তিন লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ২২ হাজার বৃত্তি ছিল এখন ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর বিষয়টি মাথায় রেখে বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানো হবে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, এতদিন অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষার বাইরে বৃত্তি পরীক্ষা আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হতো। এ বছর থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় অষ্টম শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীই বৃত্তির আওতায় এসেছে। ফলে বিদ্যমান বৃত্তির সংখ্যার তুলনায় ৪০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।

প্রস্তাবে বলা হয়, জেএসসির মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯১জন। প্রতি ৪০ জনে একজন এবং জেডিসির প্রতি ৪৫ জনে একজনকে বৃত্তি দেওয়া হবে। জেএসসিতে ৮ হাজার ৮০০ এবং জেডিসিতে ৬ হাজার বৃত্তি নতুন করে বাড়ানো হবে। মেধা কোটা ৭ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার ৮০০ এবং সাধারণ কোটা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২১ হাজার করা হচ্ছে।

মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর নতুন করে ৬ হাজার বৃত্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার মেধাকোটায় এবং বাকি ৪ হাজার সাধারণ কোটায় দেওয়া হবে।

সব বৃত্তির মেয়াদ হবে দুই বছর। মেধা কোটায় প্রতি মাসে ৩০০ টাকা ও সাধারণ কোটায় ২০০ টাকা এবং প্রতি বছর এককালীন অনুদান হিসাবে মেধা কোটায় ৩৭৫ টাকা, সাধারণ কোটায় ২২৫ টাকা দেওয়া হবে।

এতে জেএসসির নতুন ৮ হাজার ৮০০ বৃত্তির জন্য সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে দুই কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার এবং মাদ্রাসার জেডিসির ৬ হাজার বৃত্তির জন্য সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে এক কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে (২০১০-১১) বৃত্তি বাবদ সরকারের বরাদ্দ রয়েছে ৭৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।