ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজধানীর সেরা যারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১০

ঢাকা: এসএসসি ও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার মতোই জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসই) পরীক্ষায় রাজধানীর স্কুলগুলোর সাফল্য অব্যাহত রয়েছে। আর তাই বৃহস্পতিবার দিনটি ছিল ওইসব স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের আনন্দের আরেকটি দিন।

বিভিন্ন স্কুল ঘুরে তাদের সেই আনন্দের ক্ষণটি বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য লেখনীতে তুলে এনেছেন স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রহমান মাসুদ, মসিউর আহমেদ মাসুম, তুহিন শুভ্র অধিকারী, মোস্তাফিজার রহমান প্রিন্স, মহিউদ্দিন জুয়েল, আমিরুল ইসলাম মাসুদ রিয়াজ রায়হান।

পার্টি স্প্রে নিয়েই হাজির সেরা আইডিয়ালের সেরারা

‘আজ পার্টি ডে। তাই পার্টি স্রেপ্র নিয়ে এসেছি। আমরা জেএসসিতে প্রথম হয়েছি। ’

কথাগুলো বলছিলো আননূর, তাসফি, নিলয় ও তাদের বন্ধুরা। কারও তর সইছিল না, কখন ফল প্রকাশ হবে। অবিভাবকদেরও একই অবস্থা। সবাই হৈ চৈ শুরু করে দিয়েছে। তাদের এই শোরগোল সইতে না পেরে নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগেই বিদ্যালয়ের নোটিস বোর্ড এবং বাহিরের দেয়ালজুড়ে রেজাল্ট টাঙিয়ে দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এবার জেএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশে রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের এ ক্ষুদ্র অপরাধটুকু সবাই ক্ষমা করবে। কারণ তারাই পেয়েছে ঢাকা বোর্ডে প্রথম স্থান। তারপরের সময়টুকু শুধুই আনন্দের।  

২৪৭ জনের জিপিএ-৫ পাওয়া আর শতভাগ পাসের রেকর্ড নিয়ে জেএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করেছে রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় স্কুলটির মতিঝিল, বনশ্রী ও ইংলিশ ভার্সন শাখার মোট এক হাজার ১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০০ জন ছেলে আর ৪৭ জন মেয়ে।

এমন সাফল্যের পেছনে শিক্ষক, অবিভাবক এবং শিক্ষার্থীর সমান কৃতিত্ব আছে বলে মনে করেন বিদ্যালয়টির অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম।

খুব অল্প সময়ের সিদ্ধান্তে এমন একটি পরীক্ষার ফল নিয়ে সবাই বেশ চিন্তিত ছিলো বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এ বই একমাস পরে বেরিয়েছে। কাস করার জন্য শিক্ষার্থীরা মাত্র সাত থেকে আট মাস সময় পেয়েছে। ’

তারপরও কোচিং আকারে পড়ানো এবং নিয়মিত মডেল টেস্ট নেওয়ায় এ সাফল্য এসেছে বলে মনে করেন তিনি।
তার স্কুল থেকে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশি জিপিএ-৫ পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বয়সের ছেলেরা একটু দুরন্ত হয়। আমরা তাদের এ পরীক্ষার গুরুত্ব সঠিকভাবে তুলে ধরেছি। এটাই তাদের সাফল্যের মূল কারণ। ’

জেএসসি পরীক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিদ্যালয়টির অধ্যক্ষ বলেন, ‘এসএসসির আগে এমন পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মনোবল চাঙ্গা করবে। তাছাড়া এর মাধ্যমে এখন সব ছেলেমেয়েই বৃত্তিতে অংশ নিতে পারছে। ’     

দ্বিতীয় হলেও ‘ভিএনএস ইজ দ্য বেস্ট’
নিয়মের মারপ্যাঁচে সারাদেশে তারা দ্বিতীয়। তবু মুখে মুখে সগৌরবে বারবার প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ‘ভিএনএস ইজ দ্য বেস্ট’।

হাতে ঢোল আর মুখে হাসির ঝিলিক। ঢোলের বাদ্যে সমস্বরে ‘ভিএনএস’, ‘ভিএনএস’ ধ্বনি।

শিক্ষক, শিক্ষার্থী আর অভিভাবক মিলে যে জনারণ্য তৈরি হয়েছে তাতে এই ধ্বনি চাপিয়ে মাইকে দেওয়া অধ্যক্ষের ঘোষণা যেন কারোর কানেই পৌঁছাচ্ছে না।

প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর রাজধানীর ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আনন্দের চিত্র এটি।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা ২৭ মিনিটে অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম কলেজ মাঠে যখন ফলাফল ঘোষণা করেন তখন মাঠে তিল ধারনের ঠাঁই নেই।

এবার এ স্কুল থেকে রেজিস্ট্রেশন করা এক হাজার ৩২৬ জনের একজন ছাড়া সবাই পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং উত্তীর্ণ হয়। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২০ ছাত্রী।

প্রথম হতে না পেরে কোনও আক্ষেপই নেই অধ্যক্ষসহ এখানকার সবার।

ফলাফল ঘোষণার পর অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক সকলের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, পরিশ্রমের ফসল এই ফল। ’

তিনি বলেন, ‘এবার প্রথম হতে পারিনি। এটি আমাদের জন্য জেদ হিসেবে কাজ করবে। আগামীবার যেন প্রথম হতে পারি তার জন্য এখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি নেব। ’

ব্যক্তিগত ফলাফলের তালিকা স্কুলে না পৌঁছলেও প্রযুক্তির কল্যাণে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেকে নিজেদের ফলাফল জেনে ফেলেছেন। তাই বাঁধভাঙা আনন্দে পরস্পরকে জড়িয়ে অনেকেই অশ্রু ফেলেছেন, আবার নেচেছেও। তবে আশানুরূপ ফল না পাওয়াদের অনেককেই মায়ের আঁচলে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে দেখা গেছে।

ফলাফলে খুশি হলেও সন্তুষ্ট নয় মণিপুর স্কুল
মোট পরীক্ষার্থী ছিল এক হাজার ১৯১ জন। দু’জন অসুস্থতার জন্য মাঝপথেই পরীক্ষাহল ত্যাগ করে। বোর্ড ওই দুই শিক্ষার্থীর ফলাফল হিসাব করেছে অকৃতকার্য হিসেবে। এ ঘটনা কিছুটা ভাটার টান দিয়েছে মনিপুর স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আনন্দে। এইটুকু ক্ষত ছাড়া অবাক করার মতোই ফলাফল মিরপুরের এ ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির। জেএসসি ফলাফলে সারা দেশে স্কুলটির স্থান তিন নম্বরে।

স্কুলের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। তবুও আমি আমার ছাত্র-ছাত্রী ও অভিবাবকদের কাছে কৃতজ্ঞ। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দুজন পরীক্ষার্থী সবক’টি পরীক্ষা দিতে পারলে ফলাফল আরও ভালো হতো। ’

তিনি আরও জানান, এবার শুরু হওয়া এ পরীক্ষায় এ স্কুলের ১৭২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

ফলাফল স্কুলে আসতে দেরি হলেও ছাত্র-ছাত্রীরা অপেক্ষা করছিল স্কুল মাঠে। ছিলেন অবিভাবকরাও। বেলা ৩টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে মোবাইল ফোন নিয়ে। উদ্দেশ্য ফলাফল দেখা। আর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে আনন্দ-উল্লাস।

এই প্রথম চালু হওয়া অষ্টম শ্রেণীর ফলাফল নিয়ে আনন্দ-উৎকণ্ঠা অভিবাবকদেরও উতলা করেছে। মেয়ে নাসরীন ফাতেমা জিপিএ-৫ পাওয়ায় মা-মেয়ে পরস্পরকে জড়িয়ে কেঁদেছেন আপ্লুত হয়ে।

অন্যদিকে মেয়ের ভালো ফলের আনন্দে ভাসছিলেন মুঠোফোনে সবাইকে নুসরাত জান্নাত নাদিয়ার ফল জানানোর মাধ্যমে।

মনিপুর স্কুলের মাঠের একপাশে একটি মেয়েকে দাঁড়িয়ে অনবরত কাঁদতে দেখা গেলো। পাশে দাঁড়িয়ে তার মা। এ স্কুলের যে দু’জন পরীক্ষার্থী পুরো পরীক্ষা দিতে পারেনি তাদের একজন প্রভাতী শাখার এ শিক্ষার্থী। সহপাঠীদের উল্লাস তার ভালো লাগছে না বলেই জানালো সে। তবে স্কুলের ফলাফলে অন্যদের মতো সে খুশি হলেও তার পরিচয় প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করে।

শ্রুতির চেয়ে ১০ ধাপ এগিয়ে মতিঝিল মডেল হাইস্কুল
ঢাকা বোর্ডে চতুর্থ হওয়া মতিঝিল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের আনন্দ উদযাপন হলো একটু কাইমেক্সের (উত্তেজনা) ভেতর দিয়ে। বেলা ৪টায় এ প্রতিবেদক বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সব শিক্ষক-শিক্ষিকাই জানতেন চতুর্দশ হওয়ার কথা। এ প্রতিবেদকের কাছে থেকে শুনে তারা প্রথমে বিশ্বাস করেননি। পরে মুঠোফোনে বিশ্বস্ত সূত্রের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিলে বিশ্বাস হয় বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষিকা শাহনাজ আকতারের।

প্রধান শিক্ষকের কক্ষ তালাবদ্ধ ছিলো। তিনি মন খারাপ করে বাড়ি চলে গেছেন। ফোন পেয়ে দশ মিনিটের মধ্যেই আবার ছুটে আসেন। এরপর শুরু হয় আনন্দ উদযাপন।

এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় ৯৯ দশমিক শূন্য ছয় ভাগ পাস আর ৪৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে স্কুলটি। এক হাজার ৩৮৭ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ১৩ জন।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেম এ সাফল্যের পেছনে শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট গ্রুপ করে শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতিকে গুরুত্ব দেন।

তিনি বলেন, ‘আগে দিবা শাখায় আটটি শাখা ছিলো। এখন ৪০ জন করে নিয়ে ১৪টি শাখা করেছি। আর এটাই সাফল্যের প্রধান কারণ। ’

আরও ভালো ফলাফল আশা করেছিলো রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল
রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শতভাগ পাশ করেছ। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৯৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪১ জন, জিপিএ-৪ পেয়েছে ১৫১ জন এবং এর নীচে পেয়েছে তিন জন।

তবে এ ফলাফলে খুশি হতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ কর্নেল এএসএম মুসফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আরও ভালো ফলাফল আশা করেছিলাম। তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় হয়তো পিছিয়ে পড়েছি। ’

এরপরও ভালো ছাত্র, ভালো শিক্ষক আর শৃঙ্খলার কারণেই ফলাফল ভালো হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

দ্বাদশ হয়েছে হলিক্রস স্কুল
১৯৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭২টি জিপিএ-৫ এবং শতভাগ পাসের হার নিয়ে এবারের জেএসসি পরীক্ষায় ১২ তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানীর অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলিক্রস স্কুল।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় মন্ত্রণালয় থেকে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষা-২০১০ এর ফলাফল হাতে পাওয়ার পর এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান হলিক্রস স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিস্টার রানী ক্যাথেরিন ভৌমিক ।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার স্কুল থেকে ১৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলো। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭২ জন।

তিনির বলেন, ‘আমরা এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় সবসময়ই ভালো ফলাফল করে আসছি। আর এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই আমরা প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ জেএসসি পরীক্ষায়ও ভালো ফলাফল করেছি। ’

এ ফলফলের জন্য প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের একান্ত ইচ্ছা ও অকান্ত পরিশ্রম এবং শিক্ষকদের সুনিপুণ দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি ভবিষ্যতে এ ফলাফল আরও ভালো হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

অধ্যক্ষ আরও বলেন ‘আমাদের শিক্ষার্থীসংখ্যা অন্যদের তুলনায় অনেক কম। এ সংখ্যাগত হিসেবে পিছিয়ে থাকায় ফলাফলের দিক থেকে আমরা পিছিয়ে আছি। অথচ শুধু ফলাফলের ভিত্তিতে পরিমাপ করা হলে আমরা অবশ্যই আরও ভালো অবস্থানে থাকতাম। ’

ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই ক্যাম্পাসে ‘হলিক্রস’, ‘হলিক্রস’ বলে চিৎকার করতে থাকা উচ্ছ্বসিত জিপিএ-৫ পাওয়া শাকিলা ইসলাম, তুলি রাণী, কান্তা রোজারিও, সাদিয়া জান্নাতসহ কয়েকজন বাংলানিউজকে বলে, ‘ভালো ফলাফল করতে পেরে খুবই আনন্দিত। আমাদের এমন ভালো ফল হয়েছে আমাদের বাবা-মার সহযোগিতা এবং স্কুলের সঠিক দিকনির্দেশনার কারণ। ’

মেয়ের ফল নিতে আসা অভিভাবক শাহীদা খাতুন তার মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে জানিয়ে বলেন ‘আমি খুবই খুশি, আমার মেয়ে অনেক পরিশ্রম এবং নিয়মিত কাসের নিদের্শনা মেনে চলে বলেই ভালো ফলাফল করতে পেরেছে। ’

তবে সার্বিকভাবে আরও ভালো ফলাফল করলে বেশি খুশি হতেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় তুলনামূলক খারাপ ফলাফল করায় দু’তিনজনকে চোখের পানি মুছতেও দেখা যায়।

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ঢাকা বোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় চতুর্দশ স্থানে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে মোট অংশগ্রহণকারী ছিল ৩৮৫ জন। তাদের সবাই-ই পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৯ জন।

ফলাফল সম্পর্কে কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল (অব.) মো. কামরুজ্জামান খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘জেএসসি পরীক্ষার এ ফলাফলে আমরা গর্বিত। এই পরীক্ষা এবারই প্রথম হওয়ায় আমাদের কিছু ভুলভ্রান্তি ছিল। আগামীতে এগুলো শোধরে আরও ভালো ফলাফলের আশা করছি। ’

জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী মাহমুদুল ইসলাম তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলে, ‘আমার খুব ভালো লাগছে। স্কুলের নিয়মিত কাস, পরীক্ষা ও কোচিং এই ফলে ভূমিকা রেখেছে। তবে শিক্ষক ও অভিভাবকের পাশাপাশি নিজের চেষ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে এ শিক্ষার্থী।

সেন্ট যোসেফ স্কুল ১৫ তম
এ স্কুল থেকে ১৬৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো। এদের মধ্যে ১৬৪ জন কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৯ জন।

পরীক্ষার ফলাফল প্রসঙ্গে সেন্ট যোসেফ স্কুলের অধ্যক্ষ ব্রাদার লিও বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্কুলের ফলাফলে আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। শিক্ষার্থীদের প্রতি আলাদা গুরুত্ব দেওয়া, কোচিং করানো ও অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে খোজঁখবর নেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা এই ফল করেছে বলে আমরা মনে করছি। আশা করছি আগামীতে আরো ভালো ফলাফল হবে। ’

মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরী উচ্চ বিদ্যালয়
এ বিদ্যালয় থেকে এবার ৩৫৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ জন।

বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে সমস্যা থাকায় আমাদের কম ছাত্রছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, ৩০ ডিসেম্বর ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।