ঢাকা: রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও আয়াদের বিরুদ্ধে নবজাতক চুরির অভিযোগ এনে রোববার সংবাদ সম্মেলন করেছেন কামরাঙ্গীচরের এক বেগম দম্পতি।
সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে ওই এলাকার ১ নম্বর গলির শফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা বেগম দম্পতি দুপুর সোয়া বারোটার দিকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ অক্টোবর তার ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে মিটফোর্ড হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানো হয়। এতে হাসপাতালের ডাক্তাররা তাদের জমজ সন্তান হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।
পরবর্তীতে ৬ ডিসেম্বর অপারেশনের জন্য তাসলিমাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গাইনি বিভাগের ডাক্তাররা অপারেশনের আগে দুটি বাচ্চার জন্য দুটি ট্রে প্রস্তুত করেন। কিন্তু অপারেশনের পর একজন নার্স তাদের হাতে একটি মেয়ে সন্তান তুলে দেন। অপর সন্তানের কথা জিজ্ঞেস করলে ডাক্তাররা একটি সন্তান হওয়ার কথা জানান এবং ইতিপূর্বে করানো আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট ভুল ছিল বলে উল্লেখ করেন।
এ পেিরপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা হলে তিনি এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে ৭দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত তা দেয়া হয়নি।
অপরদিকে ৮ ডিসেম্বর নবজাতক চুরির অভিযোগ এনে পারভীন ও লিলি নামের হাসপাতালের দুইজন আয়াকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন শফিকুল ইসলাম।
মামলার পর থেকে আসামিরা বাদীকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
একইসাথে নবজাতক উদ্ধার ও চুরির সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই দম্পতি।
বাংলাদেশ সময় ১৪৫৮ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৬,২০১০