ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

শেরপুর উদ্ধারকৃত গোলা-বারুদ পরীক্ষা করা হচ্ছে

শেরপুর প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১০
শেরপুর উদ্ধারকৃত গোলা-বারুদ পরীক্ষা করা হচ্ছে

শেরপুর: শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া মাইন, গ্রেনেড, গোলা-বারুদ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শনিবার রাতেই ময়মনসিংহ ৪৫ রাইফেল ব্যাটেলিয়ান দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এর আগে ১৮ ডিসেম্বর ওই এলাকায় প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার রাইফেলের গুলি উদ্ধার এবং ২৫ ডিসেম্বর মাইন ,গ্রেনেড ও গুলি উদ্ধারের পর সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ব্যাপক অনুসন্ধান চালাচ্ছে।

তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (সাবেক বিডিআর) ঝিনাইগাতী নকশি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য গোলা-বারুদ ময়মনসিংহে পাঠানো হয়েছে।

এর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, কাগজ-পত্র ঘেটে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম’র (উলফার) ফেলে যাওয়া গোলাবারুদ। উলফার ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়ার পর তারা আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

ঝিনাইগাতী থানার ওসি আব্দুর রব প্রধান বাংলানিউজকে বলেন, ‘গুলি, মাইন, গ্রেনেডসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ও কাগজপত্র এখনও আমাদের কাছে হস্তান্তর করেনি বিডিআর। ’

তবে পুলিশের প থেকে ঝিনাইগাতী থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
 
এ ব্যাপার শেরপুর জেলা প্রশাসক মো. নাসিরুজ্জামান জানান, সীমান্ত এলাকায় অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও মাইন উদ্ধারের বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খখলা রাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সক্রিয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার বনভোজনের স্থান অবকাশকেন্দ্র ও নালিতাবাড়ি উপজেলার বনভোজনের স্থান মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকায় কোনো ধরনের বোমা, গুলি বা অস্ত্র আছে কিনা তা মাইন সুইপার দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

শনিবার সকালে বিডিআর-এর  একটি টহল দল ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাকাকুড়া গ্রামের জঙ্গল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় মাইন, গ্রেনেড, গোলা-বারুদ উদ্ধার করে। এর মধ্যে ভারতের আসাম রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম) কিছু কাগজপত্রও রয়েছে।

এর আগে ১৮ ডিসেম্বর একই গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে রাইফেলের ১৩ হাজার ৬৮০টি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

বিভিন্ন সময়ে ঝিনাইগাতী এলাকা থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। ২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিডিআরের সদস্যরা বাকাকুড়া গ্রামের একটি বাড়িতে মাটি খুঁড়ে প্লাস্টিকের ড্রামভর্তি ২৯ হাজার গুলি উদ্ধার করে। তখন রাসেল সাংমা নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর একই এলাকা থেকে আরও ১০ হাজার গুলি উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।