ঢাকা: ‘কি লবেন, লন। আলুর পাল্লা ৭০ টাকা।
কারওয়ানবাজারে প্রতিটি লোক জেগে আছে। একদিকে ট্রাকভর্তি হরেক রকম সবজি আসছে। অন্যদিকে, আড়ত ফাঁকা করে অন্য ট্রাকে তা চলে যাচ্ছে ছোট-বড় বিভিন্ন পাইকারের ট্রাকে।
দেশের সবচেয়ে বড় কাচা বাজার এটা। সারাদেশ থেকে প্রতিরাতে শত শত ট্রাকযোগে এখানে শাকসবজি, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আসে। ভোরের আগেই সকলের কাছে সবজি পৌঁছে যায়। শ্রমিক, ভ্যানওয়ালা, আড়তদার, চা ওয়ালা, রুটি ওয়ালা সবাই হাঁকাহাঁকি করছেন।
আড়তদারদের হাঁকাহাঁকি আর শ্রমিকদের টানাটানিতে এরই মধ্যে জমে উঠে সবজি বাজার। কেউ শুধু সবজি আড়ত থেকে ভ্যানে তুলে দেয়। আবার অন্য পক্ষ ভ্যান থেকে ট্রাকে পণ্য উঠায়। কমবেশি সবাই কিছু কিছু টাকা পায়। তবে এটাও নির্ভর করে আড়তদারের ইচ্ছার ওপর।
কোন শ্রমিক কোন ঘরে কাজ করবে তা নির্ভর করে ওই ঘরের আড়তদারের ওপর।
সবজি উঠানো শ্রমিক (কুলি) কাশেম জানান, ‘সারা রাত কাজ করে তিনশ থেকে চারশ টাকা পাই। দিনে কাজ না করায় এই টাকায় চলতে হয়। তবে এটাও আড়তদারের কাজের চাহিদার ওপর। ’
শীত মৌসুমের শুরুতেই কারওয়ানবাজারে প্রচুর শাকসবজির সমাগম। প্রতিটি আড়তেই তাই ব্যস্ত। আড়তদাররাও খুশি। তবে দাম ওঠানামা করায় বাজারে পণ্য সরবরাহ কিছুটা কম বলে মনে করেন আড়তদার জালাল আহমেদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘সবজির বাজার নিয়ে সবসময় থাকে অনিশ্চিয়তা। নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম বাড়ছে, অথচ বাজারে ক্রেতা কম। কপাল ভালো হলে লাভ না হলে লোকসান। ’
বাজারের ভিতর যাতে চাঁদাবাজি কেউ করতে না পারে এজন্য আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে তারা সারারাত পাহারা দেওয়ার কাজ করে। আলুর আড়তের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য হারুন মিয়া বলেন, ‘ কেবল আলুর আড়তে আনসারের ১৩ জন সদস্য আছে । আমরা রাতদিন একাধিক দলে ভাগ হয়ে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১০