ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাংসদ পাশাকে গ্রেপ্তার করতে চট্টগ্রামে পুলিশের অভিযান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১০

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থেকে নির্বাচিত বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশাকে গ্রেপ্তারের জন্য শনিবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

আপন ভাইয়ের দখলে থাকা বিরোধপূর্ণ একটি বাড়ি দখলের চেষ্টা এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশা ও তার ছেলেসহ চারজনের নামে শুক্রবার রাতে তারই বড় ভাই এবিএম আশরাফুল্লাহ বাদী হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করেন।



মামলায় সাংসদ মোস্তাফা কামাল পাশাকে তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলার অপর তিন আসামি হলেন সাংসদের ছেলে ইকবাল কাশেম, সাংসদের ছোট ভাই আবুল কাশেম এবং তত্ত্বাবধায়ক মাষ্টার আবুল কাশেম।

মামলা দায়েরের পর থেকে সাংসদ পাশা পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলছে বলে বাংলানিউজকে জানান ডবলমুরিং থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।

ডবলমুরিং থানার ওসি আরো জানান, নগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোডে পৈতৃক একটি বাড়ির মালিকানা নিয়ে সাংসদ এবং তার বড় ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে করা মামলা বিচারাধীন আছে।

সম্প্রতি বড় ভাইকে না জানিয়ে সাংসদ ওই বাড়িটিকে বহুতল ভবন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একটি ডেভেলপার কোম্পনির সঙ্গে চুক্তি করেন।

শুক্রবার দুপুরে সাংসদের নেতৃত্বে লোকজন বাড়ির দখল নিতে যান। এসময় তারা বাড়ির দেয়াল ও গেইট ভাঙ্গতে শুরু করলে বাড়ি দখলে থাকা বড় ভাই এবং তার ছেলেরা বাধা দেন। এ নিয়ে দু’পরে মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাধারণ লোকজনও এতে যোগ দিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এসময় আদালত থেকে বাড়ি ভাঙ্গার আদেশ আনবেন--একথা বলে সাংসদ তার লোকজন নিয়ে সেখান থেকে চলে যান।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শনিবার সকাল থেকে কয়েক দফা কল করার পর সাংসদ মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেন। তবে পরিচয় পাওয়ার পর কোনো কথা না বলে তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

ডবলমুরিং থানার আইস ফ্যাক্টরি রোডের বাড়িটি ১৯৬২ সালে মোস্তফা কামালের বাবা আবদুল বাতেনের নামে ক্রয় করা হয়। বাড়িটির একটি অংশে মোস্তফা কামালের বড় ভাই এবিএম আশরাফুল্লাহ ও তার ছেলেরা বসবাস করছেন। অপর অংশটি সাংসদ ভাড়া দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad