গাজীপুর: সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে সরকারী রাস্তাসহ জমি উদ্ধার ও দখলমুক্ত করতে গিয়ে বুধবার দুপুরে ফিরে এসেছেন উচ্ছেদ কার্যক্রমে নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট।
প্রত্যদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, বুধবার দুপুরে পুলিশ ও বুল ডোজারসহ উচ্ছেদের যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাশার মোহাম্মদ আমির উদ্দিন কালীগঞ্জের মূলগাঁওয়ে প্রাণ গ্র“পের ‘ময়মনসিংহ অ্যাগ্রো’র নামে দখল করা ৯০শতাংশ জমি উদ্ধারে যান।
কিন্তু কারখানার এজিএম প্রশাসন হাবিবুর রহমান শ্রমিক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে উচ্ছেদে বাধা দেন। এ অবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেট প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপো শেষে ময়মনসিংহ অ্যাগ্রোর সামনে থেকে ফিরে আসেন।
কালীগঞ্জ ভূমি অফিসের বরাত দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আমির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার মুলগাঁও মৌজার তিন কোটি টাকা দামের সরকারি প্রায় তিন বিঘা পরিমান (রাস্তার) জমি দখল করে প্রাণ গ্র“প ‘ময়মনসিংহ অ্যাগ্রো’ কারখানা নির্মাণ করে। সাধারণের চলাচলের রাস্তা দখল করায় অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্যে প্রাণ গ্র“পকে তিন দফা নোটিশ দেওয়া হয়।
কিন্তু তারা দখল না ছাড়ায় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক কামাল উদ্দিন তালুকদার ওই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষে সম্প্রতি তাকে (ম্যাজিস্ট্রেট) নির্দেশ দেন।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে পুলিশের একটি দল, বুল ডোজার ও প্রয়োজনীয় শ্রমিক নিয়ে ময়মনসিংহ অ্যাগো’র কারখানা উচ্ছেদে গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের এজিএম হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে উচ্ছেদে বাঁধা দেওয়া হয়।
পরে তিনি (হাবিবুর রহমান) স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শিমুল , মিলন, ইউপি মেম্বার আমির হোসেন, হাসিনা মমতাজ, ব্যবসায়ী ফারুক ও স্থানীয় এমপির পিএসের ভাই লিটনকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।
পরে তাদের বাধার মুখে ও স্থানীয় সাংসদ মেহের আফরোজ চুমকি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিলে তিনি ফিরে আসেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে ‘ময়মনসিংহ অ্যাগ্রো’র এজিএম হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান ‘একদিনের জন্যে উচ্ছেদ বন্ধ রাখার লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেট ফিরে গেছেন। ’
বাংলাদশে সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০১০