বেনাপোল: ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বুধবার সকাল থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে।
আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্তপেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
এদিকে, বাংলাদেশের আমদানিকারকদের কয়েক কোটি টাকার ঋণপত্র (এলসি) ভারতের রপ্তানিকারকদের হাতে রয়ে গেছে। ভারতীয় কোনো রপ্তানিকারক এ সময়ের মধ্যে যদি আগের এলসির পেঁয়াজ রপ্তানি করতে চান তবে তাকে দ্বিগুণ মূল্য দিতে হবে। এর ফলে নতুন করে কোনো রপ্তানিকারক পেঁয়াজ রপ্তানিতে উৎসাহী হবেন না বলে মনে করছেন বাংলাদেশি আমদানিকারকরা।
বাংলাদেশের পেঁয়াজের চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ হয় ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের মাধ্যমে। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় এ দেশের বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রূপালী এন্টারপ্রাইজের নামের মালিক নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এখন ভারতের আড়তে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪৮-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা দরে। ভারতে দাম বেড়ে যাওয়ায় মাসখানেক আগে থেকেই পেঁয়াজ আমদানি কমে গেছে।
ভারতের একাধিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে ভারতের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশনের (নাফেড) প থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত জারি করা হয়।
নাফেডের দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়, পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখা হলো। এ নির্দেশনার পর যারা রপ্তানি করতে চাইবেন তাদের বর্তমান মূল্য টনপ্রতি ৫২৫ মার্কিন ডলারের পরিবর্তে এক হাজার ২০০ ডলার দিতে হবে।
ভারতে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতেই সরকারের কৃষিপণ্য বিপণন বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা নাফেড এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ১৬ লাখ টন। প্রতি বছর উৎপাদন হয় ৯ লাখ টন। আমদানি করেই মেটাতে হয় বাকি চাহিদা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১০