দিনাজপুর: গত ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিনাজপুর জেলায় যক্ষ্মা রোগে ২৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছে ১৩৯৯ জন।
বুধবার দুপুর ১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি: বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, দিনাজপুর প্রেসকাব ও ব্র্যাকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনসুর আলী সরকার। প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ জামাল উদ্দীন আহমেদ।
গোলটেবিল বৈঠকে জানানো হয়, ২৮টি ল্যাবরেটরি, ৩৯৭ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ১৬৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ১ হাজার ৯৯৮ জন স্বাস্থ্য সেবিকার মাধ্যমে ব্র্যাক দিনাজপুরের ১১ উপজেলায় জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। জেলার অন্য ২টি উপজেলায় খ্রিস্টিয়ান মিশনারি পরিচালিত হাসপাতাল ‘ল্যাম্ব’ যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
গোল টেবিল বৈঠকে বিষয়বস্তুর ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বব্যাধি চিকিৎসক ডা. মাকসুদা বেগম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের জেলা ব্যবস্থাপক আব্দুল ওয়াহেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিদারুল আলম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি আব্দুর রাজ্জাক, ব্র্যাক কর্মকর্তা ডা. সারোয়ার হোসেন, ন্যাশনাল অ্যান্টি-টিউবারকুলোসিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নাটাব) জেলা সভাপতি তাহের উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।
গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চালন করেন দিনাজপুর প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল।
বক্তারা বলেন, ‘যক্ষ্মার বিরুদ্ধে অনেক কিছু করা গেলেও আমরা এখনও এর প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্ত হতে পারিনি। কেন পারিনি সেটা ভেবে দেখার বিষয়। ’
বক্তারা আরও বলেন, ‘সবার স্বার্থেই যক্ষ্মার বিরুদ্ধে কাজ করা দরকার এবং এ কাজ করতে হবে দেশপ্রেমসুলভ মনোভাব নিয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১০