ঢাকা: বিডিআর বিদ্রোহ মামলার ৮ আসামিকে হাতকড়া খোলা অবস্থায় বুধবার দেখা গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। তারা নিজেরাই নকল চাবি দিয়ে হাতকড়া খুলেছেন বলে জানিয়েছেন এক বিডিআর কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার দুপুরে ২৪ রাইফেলস্ ব্যাটালিয়নের বিদ্রোহের বিচারের শুনানির পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সামছুর রহমান একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে হাতকড়া খোলা পাওয়া যায় ও পরে কোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করে ইউনিফর্মের পকেট থেকে উদ্ধার করা হয় তার দিয়ে বানানো হাতকড়া খোলার চাবি। ’
তাদের এই ধরনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ সম্পর্কে আদালতের মাধ্যমে কারা কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে, বুধবার সকালে পিলখানাস্থ বিডিআর সদর দপ্তরের দরবার হলে স্থাপিত বিশেষ আদালত ৭ এ ২৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ৬৬৭ সদস্যের বিচার শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে। পরে বিচারকাজ ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
বুধবার ছিল ২৪ রাইফেলস ব্যাটলিয়নের শুনানির পর্যায়ে সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরার ১৫ তম দিন। মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ৩০ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন ও এর মধ্যে ২৯ সাক্ষীকে জেরা করেছেন আসামিরা।
মামলার ৩০ নম্বর সাক্ষী নায়েক আরশাদ শুধু সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতের পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হলে তাকে জেরা করবেন আসামিরা।
বুধবার আদালতে বিদ্রোহের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া মেজর কামরুল হাসান ঘটনার বিবরণ দেন।
সকাল সাড়ে ৯টায় বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিচার কাজ শুরু হয়। আদালতে প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সামছুর রহমান।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ২৪ ব্যাটালিয়নের ৬৬৭ জন বিডিআর সদস্যকে আদালতে এনে আসামির কাঠগাড়ায় হাজির করা হয়।
দরবার হলের স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারকের সহযোগিতা করেন লে. কর্নেল একেএম গোলাম রব্বানী, মেজর সাইদ হাসান তাপস ও অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিনিধি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. সোহরায়র্দী। আদালতে প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন লে. কর্নেল মো. সামছুর রহমান।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরে নিযুক্ত ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৩ জন নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১০