গোপালগঞ্জ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের রা ও বিচার ব্যাহত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম সহ্য করতে না পেরে ইস্যুবিহীন হরতাল ও আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে অস্থির করে তুলতে চাচ্ছে।
বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাকাকে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকা হয়েছিল। সে হরতাল সফল হয়নি। ইস্যু বিহীন হরতাল ও অন্দোলন করে যুদ্ধাপরাধীদের রা করা যাবে না। চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে। যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ মিলবে তাদেরই গ্রেপ্তার করা হবে। কেউ রেহাই পাবে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর আতœস্বীকৃত ৬ খুনীকে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম-শতবর্ষ পালন করা হবে এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো।
বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আব্দুল মাবুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব আব্দুস সোবহান সিকদার ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: রেফায়েত উল্লাহ। অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারুন, পুলিশ সুপার আব্দুল কুদ্দুছ আমীন, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী খান আবু মিয়া, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধূরী প্রমূখ।
দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিজিএমইএ ও বিআইএফটি এর মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত ২ টি প্রশিন প্রকল্পের ওভেন, নিটিং, ও লিংকিং অপারেটিভ বিষয়ক প্রশিণ কোর্সের ১ম ব্যাচের ১৪০ জন প্রশিণার্থীর মধ্যে সমাপনী সনদ ও চাকরির নিয়োগপত্র বিতরণ করেন।
বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত, ফাতেহাপাঠ ও পুস্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১০