ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাকার আইজীবীরা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান। আদালত এ ব্যাপারে জেল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সাকার জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
এর আগে জামিন আবেদনের শুনানির সময় দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলতে থাকে। এক পর্যায়ে বিচারক বিব্রত হয়ে বিকেল ৩টায় এজলাস ছেড়ে চলে যান। অবশ্য এর ৫ মিনিট পর বিচারক আবার শুনানি শুরু করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাকা চৌধুরীকে আদালতে হাজির করার দাবি জানাতে থাকেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করেন।
নতুন করে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি।
ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম মোস্তাফা শাহরিয়া খানের আদালতে শুনানি হয়।
মগবাজারে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে বুধবার দুপুর ২ টা ১০ মিনিটে আদালতে নেওয়া হয়।
সাকাকে আদালতে আনার খবরে সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করে। এ সময় পুলিশ ইসহাক সরকারসহ পাঁচ নেতা-কর্মীকে আটক করে।
সম্ভাব্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আগে থেকেই আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এর আগে গাড়ি পোড়ানো ও ফারুক হোসেন নামে এক ট্যাক্সি চালক হত্যা মামলায় গত ১৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারের পর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
রাজধানীর বনানীর একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এদিকে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে আটক রাখার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে কাস্টডি ওয়ারেন্ট জারি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১০