ভোলা: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কেয়ামুলা গ্রামের মাদ্রাসাছাত্রী জাকিয়া বেগমের (১৭) আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী সেই বখাটে মুরাদকে ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে তাকে ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে বিচারক শিবলী নোমান ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তজুমদ্দিন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, গত ১২ ডিসেম্বর রোববার সকালে মাদ্রাসাছাত্রী জাকিয়ার আত্মহত্যার পর প্ররোচনাকারী বখাটে মুরাদকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মরিয়া হয়ে ওঠে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাত ২টায় ঢাকার তুরাগ থানা পুলিশ আশুলিয়া এলাকার একটি বাসা থেকে মুরাদকে গ্রেপ্তার করে।
আদালত সূত্র ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, সোমবার দুপুর ২টায় মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ব্যপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুখ রঞ্জন সমাদ্দার বলেন, তজুমদ্দিন থানার মামলাটি এখনও তদন্তাধীন। মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল ঘটনা উৎঘাটন করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।
উলেখ্য, ইভটিজিংয়ের কারণে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার কেয়ামুলা গ্রামের শফিউলাহ মিস্ত্রীর মেয়ে ও চাঁদপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী জাকিয়া বেগম গত রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকালে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আতœহত্যা করে।
এ ঘটনায় পরদিন সোমবার পুলিশ বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
ঘটনার পর থেকে উত্ত্যক্তকারী একই এলাকার মুজাহের আলীর ছেলে মুরাদ (২০) পলাতক ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১০