ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুফতি ইজহার ও পাঁচ হুজিনেতার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১০

চট্টগ্রাম: চারদলীয় জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলামকে রিমান্ডে  নেওয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।

একইসঙ্গে ইজহারসহ এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া হরকাতুল জিহাদের (হুজির) পাঁচ নেতাকে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।



সোমবার দুপুরে রাউজান থানার সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় ইজহারসহ হুজিনেতাদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে চট্টগ্রামের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার হোসেন এ নির্দেশ দেন।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তুমল বিতর্ক হয় বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা আদালতের  পুলিশ পরিদর্শক অনু মং।     
 
এর আগে গত বৃহ¯পতিবার মুফতি ইজহারসহ ছয় জঙ্গিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের  রিমান্ডের আবেদন জানায়।  

ওই দিন সকালে চট্টগ্রামের রাউজান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের হওয়া মামলায় মুফতি ইজহারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ইজহারসহ হুজির পাঁচ জঙ্গির রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর না হওয়া প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা দায়রা জজ  আদালতে নিয়োজিত  সরকারি কৌসুলি আবুল হাশেম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ মুফতি ইজহারের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা ও আশ্রয় দেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বয়েছে। এ কারণে তাদের জিজ্ঞাসবাদের জন্য রিমান্ড দেওয়াটা বাঞ্ছনীয় ছিল বলে মনে করি। ’
 
আদালত সূত্র জানায়, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মুফতি ইজহারকে ধর্মীয় নেতা ও ইমাম হিসাবে অভিহিত করে তিনি হুজির সঙ্গে যুক্ত নন বলে জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করেন। একইভাবে অপর পাঁচ জনও  হুজির সঙ্গে জড়িত নয় বলে উল্লেখ করেন তারা।

এর আগে সোমবার দুপুর ১ টায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মুফতি ইজহারসহ পাঁঁচ জঙ্গিকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিকেল সোয়া তিনটার দিকে তাদের চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
 
গত ১৩ ডিসেম্বর সোমবার ভোররাতে রাউজানের পাহাড়ী অঞ্চল থেকে হুজির অন্যতম প্রশিকসহ চার সদস্য এবং হাটহাজারী থেকে অপর এক প্রশিক্ষকসহ মোট পাঁচজনকে আটক করে র‌্যাব। এদের কাছ থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য, জিহাদি বই ও বিস্ফোরক বানানোর পদ্ধতির বই উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার হুজি’র পাঁচ সদস্যকে আদালতে হাজির করে পুলিশ দশদিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত রোববার শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। কিন্তু চট্টগ্রামে হরতালের কারণে আসামিদের হাজির করতে না পারায় আদালত সোমবার শুনানির দিন পুনঃনির্ধারণ করেন।

হুজি সদস্যদের গ্রেপ্তারের পরদিন বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে মুফতি ইজহার গ্রেপ্তার হুজি সদস্যদের নিজ দলের সদস্য ও মাদ্রাসা শিক বলে দাবি করেন। এর তিনঘণ্টার মধ্যে নগরীর লালখান বাজারে তার প্রতিষ্ঠিত জামেয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।