ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাঘ রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারতের চুক্তি স্বাক্ষর পেছালো

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১০
বাঘ রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারতের চুক্তি স্বাক্ষর পেছালো

ঢাকা: সুন্দরবনের বাঘ ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ সংরক্ষণে যৌথ প্রচেষ্টা নিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রটোকল স্বাক্ষর পিছিয়ে গেছে। ভারতের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী জয়রাম রমেশের ঢাকা সফর স্থগিত হওয়ায় প্রটোকল স্বাক্ষরও পেছালো বলে পররাষ্ট্র এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়।



পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মনজুরুল হান্নান খান রোববার বাংলানিউজকে জানান, ‘ভারতের বন ও পরিবেশমন্ত্রী জয়রাম রমেশের ঢাকা সফর পিছিয়ে গেছে। এ কারণে প্রটোকল স্বাক্ষরও পিছিয়ে গেল। ’

তিনি বলেন, ‘সফর ও চুক্তি পিছিয়ে গেলেও নতুন কোনো দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়নি। ’  

পূর্বে নির্ধারিত সফরসূচি অনুযায়ী ২০ ডিসেম্বর জয়রাম রমেশের ৫ দিনের সফরে ঢাকা আসার কথা ছিল। বাঘ সংরক্ষণে দ্বিপক্ষীয় প্রটোকল স্বাক্ষরের কথা ছিল ২২ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষরের কথা ছিল পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের।  

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মেক্সিকোর কানকুনে জলবায়ু সম্মেলনে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও জয়রাম বাংলাদেশে আসার কথা জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে গত সপ্তাহে সফরটি স্থগিত করা হয়।    

মনজুরুল হান্নান খান এ ব্যাপারে বলেন, ‘জানুয়ারির মধ্যেই ভারতীয় পক্ষ থেকে জানানো হতে পারে, জয়রাম রমেশ কবে বাংলাদেশে আসবেন। ’

ভারতীয় মন্ত্রী এলেই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে বলে তিনি জানান।  

বাঘ সংরক্ষণে আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও যৌথ প্রচেষ্টার ব্যাপারে ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকায় ‘গ্লোবাল টাইগার ফোরামে’র প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তির বিষয়াবলী নয়াদিল্লি অনুমোদন করেছে।

বাঘ সংরক্ষণের প্রটোকলের বিষয়াবলীর ব্যাপারে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা সূত্র জানায়, সুন্দরবনের বাঘ বেআইনিভাবে আটক ও চোরাচালান বন্ধে বিশেষ টহল ব্যবস্থা চালু করা হবে। সেই সাথে একদেশের বন্যপ্রাণী অপরদেশের সীমান্তে আটকে পড়লে তা স্ব স্ব দেশে বনভূমিতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সর্বপরি, প্রটোকল চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশ এমন কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করবে না যাতে সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র্য ও পরিবেশের ওপর কোনো ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

এ চুক্তির আওতায়, সুন্দরবনের ‘রয়াল বেঙ্গল টাইগার’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈজ্ঞানিক এবং গবেষণামূলক প্রকল্প গ্রহণ করবে যাতে উভয় দেশের মধ্যে বাঘ সম্পর্কিত পারস্পরিক তথ্য বিতরণ ও গবেষণা জোরদার করা যায়। স্বাক্ষরিত প্রটোকলে উভয় দেশের বনবিভাগের কমকর্তাদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও পারস্পরিক সফর বিনিময়ের সূযোগ রয়েছে।

সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিনষ্ট হয় এমন কোনো পদক্ষেপ দুই দেশের কেউই গ্রহণ করবে না.. এই মর্মে অঙ্গীকারও থাকছে চুক্তিটিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।