ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দিনাজপুরে রিমান্ড শেষে ভাগ্নে-শহীদকে জেল হাজতে প্রেরণ

সানি সরকার, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১০
দিনাজপুরে রিমান্ড শেষে ভাগ্নে-শহীদকে জেল হাজতে প্রেরণ

দিনাজপুর: দিনাজপুরে জেএমবি’র প্রধান, সুরা সদস্য ও সামরিক কমান্ডার ভাগ্নে-শহীদকে পুলিশ ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

দিনাজপুরের আল-আমীন ইন্সুরেন্সের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোস্তাকিম বিল্লার হত্যা মামলায় জেএমবি’র সুরা সদস্য ও সামরিক কমান্ডার আনোয়ার আলম ওরফে নামজুল ওরফে তুহিন ওরফে ময়নুল ওরফে ভাগ্নে-শহীদকে (৩২) গত ১৬ ডিসেম্বর পুলিশ ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়।


 
রিমান্ড শেষে রোববার সকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক সোহাগ তালুকদার তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করার আদেশ প্রদান করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিরামপুর থানার এসআই সাজু মিয়া বাংলানিউজকে জানান,
গত ১৬ ডিসেম্বর ভাগ্নে-শহীদকে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড চলাকালে জেএমবি’র এই শীর্ষ নেতা অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন যা তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

তিনি জানান, ভাগ্নে-শহীদকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাজু আরও জানান, ভাগ্নে-শহীদের স্ত্রী এবং নিহত ইন্সুরেন্স কর্মকর্তা মোস্তাকিম বিল্লাহর ছোটবোন মহিলা শীর্ষ জঙ্গি বদরুন নাহার লিমু ছদ্ম নাম-পরিচয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলার বিশ্বাসপাড়া গ্রামের কোরবান আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের একটি দল গত ১৮ ডিসেম্বর ভোরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।

কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। পুলিশের উপস্থিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগেই বদরুন নাহার তার অবস্থান পরিবর্তন করে গা ঢাকা দেন।

বদরুন নাহার দিনাজপুর সরকারি কলেজে অর্নাসে (বাংলা) পড়ার সময়ে ভাগ্নে-শহীদকে বিয়ে করে জেএমবি’র কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। কলেজ কর্তৃপ বিষয়টি জানতে পেরে তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করার পর থেকে বদরুন নাহার গা ঢাকা দেন বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান।

এসআই সাজু বাংলানিউজকে আরও জানান, তবে নিহত ইন্সুরেন্স কর্মকর্তা মোস্তাকিম বিল্লাহর আরেক ছোটবোন এবং জেএমবি’র কেন্দ্রীয় আমির মওলানা সাইদুর রহমানের স্ত্রী নুরুন্নাহার হিমু এবং তার ছোট ভাই মোনতাসির বিল্লাহর স্ত্রী আসমা মিমিকে পুলিশ এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে জেএমবি’র আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে জেএমবি সদস্যদের গুলিতে মোস্তাকিম বিল্লাহ বিরামপুর উপজেলার দূর্গাপুর নামক স্থানে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের মামা আব্দুল্লাহ মিয়া বাদী হয়ে বিরামপুর থানায় অভিযোগ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তে জানা যায়, জেএমবি সদস্যদের হাতেই মোস্তাকিম বিল্লাহ নিহত হয়েছেন।


বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।