নাটোর: জেলার সিংড়া উপজেলায় সাতটি হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ ২১টি মামলার আসামি সন্ত্রাসী আবু বক্কর (৪৫)-কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার রাত ১২টার দিকে একই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে।
এলাকাবাসী জানান, কিছু দিন থেকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা জনৈক আব্দুস সালামের স্ত্রীকে নিয়ে আবু বক্কর বুধবার রাতে মির্জাপুর গ্রামে জামাতা ওসমানের বাড়িতে যান। রাত ১২টার দিকে কেবা কারা তাকে ঘুম থেকে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে লাশ ওই বাড়ির উঠানে ফেলে রেখে যায়।
সম্প্রতি এলাকাবাসী শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু বক্কারকে গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলার কলম বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। এর আগে তারা সংবাদ সম্মেলন করে সন্ত্রাসী আবু বক্কারকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
এলাকাবাসী জানান, আবু বক্কর সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী গ্রামে আজাহার আলীর স্ত্রী আছিয়া বেগম (৩৫) ও একই এলাকার হেলাল মেম্বারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন।
এছাড়া আরও ৫টি হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ ২১টি মামলার পলাতক ছিলেন বক্কর। সবকটি মামলাতেই তিনি প্রধান আসামি হলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
নিহত হেলাল মেম্বারের ভাই আব্দুল আজিজ সর্দার বলেন, যারা বক্করের বিরুদ্ধে সাক্ষি দিতেন তাদের ওপর প্রকাশ্যে নির্যাতন চালাতেন তিনি। ফলে তার মামলায় কেউ সাক্ষি দিতে চাইতেন না। এ শীর্ষ সন্ত্রাসী খুন হওয়ায় নির্যাতিত মানুষ উল্লাস প্রকাশ করেছেন।
সিংড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, আবু বক্কর বুধবার একই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে তার জামাতা ওসমানের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য বক্করের লাশ নাটোর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২০১ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১০