ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাড়ি চোরদের দিয়ে রাতভর সাকার শরীর ম্যাসাজ!

সাঈদুর রহমান রিমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১০
গাড়ি চোরদের দিয়ে রাতভর সাকার শরীর ম্যাসাজ!

ঢাকা: ডিবি হাজতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা চৌধুরী) অন্য আসামিদের দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করিয়েছেন। শুক্রবার রাতে একই হাজতে বন্দি একদল গাড়িচোরকে অনুরোধ করে সাকা চৌধুরী রাতভর শরীর ম্যাসাজ করান।



এ দৃশ্য দেখে ফেলেন ডিবি’র এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি সাকা চৌধুরীকে অন্য হাজতে নিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দেন। তবে রাতে নয়, তার সে নির্দেশ মানা হয় শনিবার সকালে।

সূত্র নিশ্চিত করেছে সকালেই সাকা চৌধুরীকে অন্য হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, শনিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর সাকা চৌধুরীকে ওই হাজতে একা রাখা হলেও রাতেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরে আনা হয় গাড়িচোর চক্রের ৬ সদস্যকে। পরে তাদেরকেও একই হাজতখানায় থাকতে দেওয়া হয়।

সে সুযোগেই চোরদের দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করিয়ে নেন সাকা চৌধুরী।

পুলিশ জানায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি দণি) আলাদা কোনো হাজতখানা না থাকায় সাকা চৌধুরীকে হাজতখানা সংলগ্ন একটি ছোট কক্ষে রাখা হয়েছে। তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন কক্ষটিতে পাহারা বসানো হয়েছে।

হাজত পরিবর্তনের পর শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় তেল ছাড়া চারটি পরোটা, ডিম ও সবজি নাস্তা হিসেবে খেতে দেওয়া হয় সাকা চৌধুরীকে। দুপুরের খাবার হিসেবে দেওয়া হয় ভাত, মাছ, মাংস ও ডাল। ডিবি পুলিশ সূত্রে এ কথা জানা গেছে।

আদালত থেকে সাকা চৌধুরীকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার পর শনিবার তৃতীয় দিন চলছে। দিনের বেলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা না হলেও রাতেই পুনরায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ডিসি ডিবি মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান।

সাকা চৌধুরী শনিবার সকালে তার বড় ছেলের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে চাইলেও ডিবি সদস্যরা সে সুযোগ দেননি। তবে সকাল ৯ টার দিকে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, মেয়ে ফারদিন কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী মিন্টু রোডস্থ ডিবি কার্যালয়ের সামনে যান। কিন্তু তাদের কাউকে সাকা চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। এ সময় পরিবারের পক্ষ থেকে জ্যাকেট, মাফলার, চাদরসহ কিছু শীতবস্ত্র সাকা চৌধুরীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময় : ১৪৫৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।