ঢাকা: মাত্র ৫ দিন আগে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হা-মীম গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানা দ্যাটস ইটস স্পোর্টসওয়্যারে এবার ছাদ ধসে পড়ার গুজবে আহত হয়েছেন ৫০ শ্রমিক। আতঙ্কে হুড়োহুড়ো করে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন ওই শ্রমিকরা।
গত ১৪ ডিসেম্বর ভয়াবহ আগুনে মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার হন ওই কারখানার ২৮ শ্রমিক। এ ঘটনায় ৪ দিন বন্ধ রাখা হয় কারখানাটি। শনিবার সকাল ৮টায় কারখানা খুললে ফের কাজে যোগ দেন সহকর্মী হারানো শোকাহত শ্রমিকরা। এর আধঘণ্টা পরেই আশুলিয়ার নরসিংহপুরের ওই পোশাক কারখানার ১০ তলার ছাদ ধসে পড়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার পর কাজ ছেড়ে শ্রমিকরা নিচে নেমে বিােভ করলে কারখানা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ুব্ধ শ্রমিকরা এ সময় পুলিশকে ল্য করে ইট-পাটকেল নিপে ও বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়ক একঘণ্টা অবরোধ করে রাখে।
উত্তেজিত শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রায়ট ভ্যানে সাইরেন বাজিয়ে ও জলকামান নিয়ে এলাকায় টহল জোরদার করে। পরে হা-মীম গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে আজাদ মাইকিং করে শ্রমিকদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানালে শ্রমিকরা কাজে ফিরে যান।
ছাদ ধসে পড়ার গুজবে ৫০ জনেরও বেশি শ্রমিক আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, আহতদের ১৮ জনকে স্থানীয় নারী ও শিশু কেন্দ্র ও দু’জনকে স্থানীয় খলিল কিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সড়ক অবরোধের বিষয়টিও স্বীকার করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
হা-মীম গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে আজাদ বাংলানিউজকে জানান, সকালে শ্রমিকরা শোকাহত পরিবেশে কাজ শুরু করার মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে গুজব উঠলে শ্রমিকরা হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত হন।
তিনি জানান, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, হা-মীম গ্র“পের কারখানায় আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে দ্বিতীয় দিনের মতো তদন্তকাজ শুরু করেছে সরকার ঘোষিত তদন্তদল।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর হা-মীম গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানা দ্যাটস ইটস স্পোর্টসওয়্যারে আগুন লেগে ২৮ শ্রমিক নিহত ও শতাধিক মারাত্মক আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১০