ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস শনিবার

সাইদ আরমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১০
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস শনিবার

ঢাকা: বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে শনিবার পালন করা হবে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। এবারের মূল প্রতিপাদ্য- ‘অভিবাসীর অধিকার-মর্যাদা ও ন্যায়বিচার’।



দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দিনটি উপলক্ষে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ মাইগ্রেন্টস ফাউন্ডেশন র‌্যালি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে।

অভিবাসী কর্মীদের মর্যাদা প্রদান, অধিকার সংরক্ষণ ও  দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে এবং অভিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ ২০০০ সাল থেকে ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৫৫তম সাধারণ পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে সমগ্র বিশ্বে অভিবাসী শ্রমিকের দুর্ভোগ, দুর্দশা এবং তাদের ওপর সহিংসতা, নিপীড়ন ও নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবং ‘অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার-মানবাধিকার’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর একটি অভিবাসী সনদ অনুমোদন করে।

২০০০ সাল থেকে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত প্রতিটি দেশ দিবসটি পালন করে আসছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে আসছে।

রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তার বাণীতে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থে বাংলাদেশ রেকর্ড পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ করেছে। ’

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অভিবাসীরা তাদের কর্ম, আচরণ ও নিষ্ঠার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করবেন এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অব্যাহত অবদান রাখবেন। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ। অভিবাসনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি প্রবাসীদের প্রেরিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রায় দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ’

অভিবাসন ও বাংলাদেশ

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্যমতে, বর্তমানে ১৩২টি দেশে প্রায় ৭০ লাখ প্রবাসী কর্মরত আছেন। ২০০৯ সালে রেমিটেন্স এসেছে ১ হাজার ৭২ কোটি ডলার।  

পরিসংখ্যান মতে, এ রেমিটেন্স বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৩ গুণ, বৈদেশিক সাহায্যের ৫ গুণ।

দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে সরকার ৬৪টি জেলাতেই কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে ৩৮টি টিটিসি চালু আছে।   সরকার সম্প্রতি ৭০ লাখ টাকার একটি আবর্তক তহবিলের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম প্রণয়ন করেছে যার মুনাফা হতে প্রতি বছর বিদেশগামী কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

ব্যুরোর তথ্য মতে, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিদেশে যাওয়া লোকের ৫০ শতাংশ অদক্ষ, ৩১ শতাংশ দক্ষ, ১৬ শতাংশ আধা-দক্ষ ও ৩ শতাংশ পেশাদার। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে সৌদি আরব থেকে, তারপর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আবর আমিরাত ও কুয়েত।    

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।