ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এমভি জাহান মণি’র জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তপে কামনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১০

চট্টগ্রাম: সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি জাহান মণি’র নাবিকদের উদ্ধারে প্রধানন্ত্রীর হস্তপে কামনা করে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে অংশ নেন জিম্মি ১২ নাবিকের পরিবারের সদস্যরাও।



শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রেসকাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের বুকে জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তেেপর আহ্বান সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ঝোলানো ছিল।  

মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে জাহাজের ইঞ্জিন-ক্যাডেট শাহরিয়ার রাব্বীর মা বিলকিস রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘সোমালিয়ান জলদস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করেছে কিনা, জাহাজে জিম্মি আমাদের সন্তানরা কেমন আছে এসব বিষয়ে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কিছুই আমাদের জানাচ্ছেন না। ’

মালিকপ মুক্তিপণের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিলকিস রহমান বলেন, ‘তারা কিছুই বলতে চাইছেন না। ’

তিনি তার সন্তানসহ জিম্মি হওয়া নাবিকদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তপে কামনা করেন।
 
উল্লেখ্য, গত পাঁচ ডিসেম্বর ছিনতাইয়ের পর জাহাজটি শুক্রবার রাত ১টা ২৩ মিনিটে সোমালিয়ায় পৌঁছে। জাহাজটি যে স্থানে নোঙ্গর ফেলেছে সেই গারাকাদ অঞ্চলটি ‘সোমালিয়ান জলদস্যুদের মুক্তাঞ্চল’ হিসেবে পরিচিত। জাহাজটিতে ২৫ নাবিক ও এক নাবিকের স্ত্রীকে জিম্মি করে রেখেছে জলদস্যুরা।

নোঙ্গর করার পর ১১ ডিসেম্বর রাতে এমভি জাহান মণির স্যাটেলাইট ফোন সচল করে জলদস্যুরা। পরদিন দুপুর আড়াইটায় এবং সন্ধ্যা সাতটায় দু’দফা জাহাজ মালিকের সঙ্গে জলদস্যুরা স্যাটেলাইট ফোনে যোগাযোগ করে।

পরে আরও কয়েক দফা যোগাযোগ করে নাবিকদের পরিবারের মাধ্যমে ১০৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে জলদস্যুরা।
কিন্তু জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান ব্রেভ রয়্যাল শিপিং ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প থেকে মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি বরাবর অস্বীকার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।