ঢাকা: বাংলাদেশে বছরে ৫ লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। এ রক্তের ২৬ ভাগ আসে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের কাছ থেকে।
অপর দিকে স্ক্যানিং ছাড়া আত্মীয়-স্বজনের রক্ত গ্রহণেও ঝুঁকি থাকে।
জাতীয় প্রেসকাব মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সম্মানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম আল বোখারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এস আকবর এমপি।
বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক আচার্য ড. পরেশ চন্দ্র মণ্ডল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও স্বেচ্ছা রক্তদান প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম ইউনুস।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম ইউনুস বলেন, ‘নিয়মিত রক্তদানের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের মতো জটিল রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা হাজারে মাত্র ০.৪ জন।
তিনি বলেন, ‘স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা প্রতি হাজারে ২ জনে উন্নীত করতে পারলে রক্তের চাহিদা পূরণ হবে। ’
অধ্যাপক ইউনুস বলেন, ‘অনেকে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, ম্যালেরিয়া ও এইডস-এ পাঁচটি রোগের পরীক্ষা না করেই রক্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু এটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। ’
অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, এ বছর স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের কাছ থেকে গ্রহণ করা রক্তের মধ্যে দুই হাজার ৫৬০ ইউনিট রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাতিল করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে অন্তত ১০ বার রক্ত দিয়েছেন এমন তিনশ’ রক্তদাতাকে সিলভার মেডেল এবং ২৫ বার রক্ত দিয়েছেন এমন ২২ জনকে গোল্ডেন ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও বিশেষ আইডি কার্ড প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১০