ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগ চাইলেন স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১০
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগ চাইলেন স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী!

ঢাকা: স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহর পদত্যাগ দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, ‘তার (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক) মতো এমন নিষ্কর্মা আর নেতিবাচক মানসিকতার লোক আমি আর দেখি নি।

আমি আজকের সমাবেশ থেকে তার পদত্যাগ দাবি করছি। ’

শুক্রবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বাধীনতা ডিপ্লোমা চিকিৎসক পরিষদ আয়োজিত ‘অঙ্গিকার সমাবেশ-২০১০’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।

প্রতিমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অপর প্রতিষ্ঠান পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সম্পর্কে বলেন, ‘এর আগে দেখেছি এ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার কাজ ঠিকভাবে করতে পারছেন না। সাত দিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি তাকে বদলি করার জন্য। গতকাল তাকে পরিবহন পুলে বদলি করা হয়েছে। ’

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহ এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মহাপরিচালক বেগম দিলরুবা উভয়েই আজকের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। তবে তারা কেউই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধীদের খুঁজতে আপনাদের অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ে যেতে হবে না, স্বাস্থ মন্ত্রণালয়ে এলেই হবে। এ মন্ত্রণালয় স্বাধীনতাবিরোধী লোকে বোঝাই। ’   

নিজ মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি কম স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এজন্যই বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ফাইল দীর্ঘদিন আটকে থাকে। ’

এর আগে আয়োজক ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা তাদের পদবি মেডিকেল অ্যাসিসটেন্টের বদলে সাব-অ্যাসিসট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার করার সরকারি সিদ্ধান্ত দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি জানান।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ১৬ জুন মেডিকেল অ্যাসিসটেন্টের বদলে সাব-অ্যাসিসট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার করার সিদ্ধান্তটি পাশ হয়। অথচ এতোদিনে তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। এ ব্যর্থতা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরই। কেন ফাইল দেরি হচ্ছে তা আমি দেখবো এবং এ মাসের মধ্যেই যাতে বিষয়টি চূড়ান্ত হয় এ ব্যাপারে কাজ করবো। ’

মেডিকেল অ্যাসিটেন্টের বদলে সাব-অ্যাসিসট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার করার সিদ্ধান্তটি কেবল পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কার্যকর হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগে তা এখনো কার্যকর হয়নি।    

স্বাধীনতা ডিপ্লোমা চিকিৎসক পরিষদ সভাপতি ডা. মো ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডা. এম ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।